সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাতনি জায়মা জারনাজ রহমান ‘জায়মা রহমান’ নামেই পরিচিত। বাবা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মা মেধাবী চিকিৎসাবিদ ডাক্তার জোবাইদা রহমান। অতিসম্প্রতি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এ তরুণীর নাম। আমাদের দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরবর্তী উত্তরাধিকারীরা রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই সাধারণত আলোচনায় এসে থাকেন নানাবিধ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে। এ ক্ষেত্রে জায়মা ব্যতিক্রম। তিনি আলোচনায় এসেছেন একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে বাবার প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণের কারণে। গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের (সে দেশের পার্লামেন্ট) আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সে অনুষ্ঠানে বাবা তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কন্যা জায়মা রহমান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা থেকে এবং জায়মা লন্ডন থেকে ওয়াশিংটনে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই অনুষ্ঠানে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানটি এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, তাতে অংশ নিলে বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং মতবিনিময়ের সুযোগ পাওয়া যায়। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন অনুষ্ঠান হিসেবে গণ্য। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার জায়মা রহমান ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন্স ফেলোশিপ ফাউন্ডেশনের নেত্রী রেবেকা ওয়াগনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগেই আন্তর্জাতিক একটি অনুষ্ঠানে জায়মার এ অংশগ্রহণ জনমনে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটাকে উত্তরাধিকারসূত্রে রাজনীতিতে তার আগমনের আভাস হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক কালবেলা ‘জায়মা রহমানকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ অনুষ্ঠানে জাইমার অংশগ্রহণে রাজনীতিতে তার অভিষেক হতে যাচ্ছে কি না—রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। তবে দল ও তার পরিবার থেকে এখনো কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় এ ঘটনা তার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করেন না অনেকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেছেন, ‘বিষয়টা এখনো কৌতূহল পর্যায়েই আছে। কারণ জায়মা রহমানের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বিএনপি কোনো ঘোষণা দেয়নি। কিংবা জায়মা নিজেও বলেননি তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। তবে জায়মা রহমানের যোগ্যতা-কার্যক্রম যদি দলের জন্য উপকারী হয়, দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সে অবস্থায় জিয়া পরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে ভবিষ্যতে তার দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে।’ অন্যদিকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. সাব্বির আহমদ কালবেলাকে বলেছেন, ‘এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় এটা ইঙ্গিত দেয় যে, জায়মা রহমান রাজনীতিতে আসছেন। কারণ, আমাদের দেশে পারিবারিক ধারায় রাজনীতিতে আসাটাই স্বাভাবিক। এটা বিএনপির জন্য এক ধরনের বার্তা।’
বিএনপির জন্য শুধু নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যও জায়মার এ আত্মপ্রকাশ ইতিবাচক বার্তা দেয়। রাজনীতিতে পারিবারিক উত্তরাধিকারকে কেউ কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখলেও উপমহাদেশে এটা এখন একরকম প্রথায় পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীর পরিবারের কেউ যদি দল বা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন হন, তাহলে তার রাজনীতিতে আসা এবং নেতৃত্ব গ্রহণে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে পরবর্তী নেতৃত্বপ্রত্যাশী উত্তরাধিকারকে রাজনৈতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যেমনটি করেছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। তার বাবা জওহরলাল নেহরু ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে তার বিশেষ সহকারী নিয়োগ করেছিলেন। ইন্দিরা তার বাবা প্রধানমন্ত্রী নেহরুর সঙ্গে বহুবার বিদেশ সফর করেছেন। ওই সময়ে ইন্দিরা রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা ও কূটনীতি বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন হাতেকলমে। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ইন্দিরাকে তাই রাজনীতিতে সাফল্য অর্জন করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ১৯৫৯ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধীকে ভারতীয় জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্যপদ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ক্যাবিনেটে ইন্দিরা গান্ধীকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী করা হয়। ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দে হঠাৎ মারা গেলে ইন্দিরা গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। এর পরের কাহিনি সবার জানা। ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গেছেন। বিশেষত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য। ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সফর করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতার চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা উপস্থাপন ও তার সপক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিলেন। লক্ষণীয় হলো, প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার আগে তিনি রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন বাবা জওহরলাল নেহরুর বিশেষ সহকারী ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে কাজ করে। ওই সময় তিনি নিশ্চয়ই দুই প্রধানমন্ত্রীর কার্যাবলি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন; যা তাকে রাজনীতি বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তুলেছিল। আরেকটি বিষয় হলো, জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পরেই পারিবারিক উত্তরাধিকারের দাবিতে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেননি। সে সময় সরকার ও কংগ্রেসে সবচেয়ে যোগ্য নেতা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে বসানো হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধীকে মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে ভোটযুদ্ধ করেই রাজ্যসভার প্রধান হতে হয়েছিল। তবে ১৯৮৪ সালে নিজের দেহরক্ষীদের হাতে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর তার ছেলে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ বিমানচালক রাজীব গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোও রাজনীতিতে এসেছিলেন বাবার উত্তরাধিকারসূত্রেই। তবে তার আগে বিভিন্ন সময়ে তিনি তার বাবা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন। বেনজির ভুট্টোর আত্মজীবনী ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’ গ্রন্থে তার সবিস্তার উল্লেখ আছে। তাতে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বিশেষ দূত হিসেবে জুলফিকার আলি ভুট্টো যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, তখন হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী কন্যা বেনজিরকে সহকারীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২ সালের জুন মাসে ভারতের শিমলায় ইন্দিরা-ভুট্টো বৈঠকের সময়ও বেনজিরকে সঙ্গে রেখেছিলেন জুলফিকার আলি ভুট্টো। ওই সময়গুলোতে রাজনীতি ও কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন বেনজির ভুট্টো। বাবা ভুট্টো তাকে নানাভাবে শেখাতেন রাজনীতি ও কূটনীতির বিভিন্ন বিষয়। বেনজির লিখেছেন, বাবা ভুট্টো তাকে বলেছিলেন, ‘কূটনীতির একটা মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে সংশয় তৈরি করা; তোমার হাতের সব কার্ড (তাস) টেবিলে রেখো না’ (ডটার অব দ্য ইস্ট, পৃষ্ঠা: ৬৬)। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে একটা ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে নিজের পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাওয়া। সফল রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা এ পন্থাটি অবলম্বন করে থাকেন।
উত্তরাধিকারের রাজনীতির আরেক উদাহরণ শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা। চন্দ্রিকার বাবা সলোমন বন্দরনায়েকে ছিলেন শ্রীলঙ্কার জাতীয়তাবাদী বামপন্থি রাজনৈতিক দল ‘শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৯ সালে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সোমারামা কর্তৃক তিনি নিহত হলে তার বিধবা পত্নী সিরিমাভো বন্দরনায়েকে স্থলাভিষিক্ত হন। সিরিমাভো ১৯৬০ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হন। তাদের কন্যা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ১৯৯৪ সালে।
অনেকে রাজনীতিতে পারিবারিক উত্তরাধিকারের বিরোধী। তারা এটাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পরিবারতন্ত্র’। রাজনীতির অন্যান্য তন্ত্রের সঙ্গে এ এক নবতর সংযোজন। এ তন্ত্রের যারা বিরোধী তাদের যুক্তি হলো—পরিবারতন্ত্রের কারণে দলে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা যথাযথ মূল্যায়ন পায় না। যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, পূর্বসূরি নেতার স্থলাভিষিক্ত হন তদীয় স্ত্রী, পুত্র বা কন্যা। এটা যোগ্যতর নেতৃত্ব গড়ে ওঠা বা বিকাশের পথে অন্তরায়। তাই দেশের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্রের বিলোপের পক্ষে অনেকেই সোচ্চার। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে নেতার পারিবারিক উত্তরাধিকারকে রাজনীতিতে প্রবেশ ও নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হয় সময়ের চাহিদার কারণেই। আর সে চাহিদা দলের ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখা ও নেতার অবর্তমানে দলের অভ্যন্তরে সৃষ্ট কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার স্বার্থে। আমাদের দেশের রাজনীতিতে সাড়ে চার দশক দাপটের সঙ্গে দুই বৃহৎ দলের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের ঐক্য ধরে রাখা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের জন্যই তাদের দলের শীর্ষ পদে বসানো হয়েছিল। একজন স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন স্বামীর, আরেকজন তার বাবার। বলা নিষ্প্রয়োজন, পারিবারিক উত্তরাধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ অধিষ্ঠান নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। এর দুটি কারণ রয়েছে। এক. উদ্ভূত সংকটময় সময়ে দলের ঐক্য ধরে রাখার জন্য এর কোনো বিকল্প ছিল না। দুই. শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে তারা তাদের দলকে সুসংগঠিত ও রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে যেতে নেতৃত্বের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অন্য অনেক বিষয়ে তাদের সমালোচনা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তারা যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন সন্দেহ নেই। সুতরাং পারিবারিক উত্তরাধিকারই কোনো একজন রাজনৈতিক নেতার যোগ্যতার মাপকাঠি নয়। নিজস্ব কর্মকুশলতা ও কর্মদক্ষতা দিয়েই তাকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়।
ধমনিতে রাজনৈতিক রক্তপ্রবাহের কারণেই হয়তো তারেক-কন্যা জায়মা রহমান একসময় রাজনীতিতে পদার্পণ করবেন। তার আগে তাকে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। আর সেটা সম্ভব বাবা তারেক রহমানের ছায়াসঙ্গী হয়ে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক