মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ এএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ কথা সে কথা

গণতন্ত্রের এক অতন্দ্র প্রহরীর কথা

গণতন্ত্রের এক অতন্দ্র প্রহরীর কথা

মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়াকে তার দলের নেতাকর্মী ও অনুরক্তরা সম্বোধন করতেন ‘গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী’। তার রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে এই অভিধাটির যথার্থতা খুঁজে পাওয়া যায়। রাজনৈতিক পথচলায় যখনই গণতন্ত্রের প্রশ্ন এসেছে, এর পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন তিনি। মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার জন্ম ১৯২৪ সালের ৯ জুলাই তৎকালীন রংপুর, বর্তমান নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায়। ছাত্রজীবনেই তিনি হাতেখড়ি নেন রাজনীতিতে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে আর্তমানবতার সেবা এবং ছেচল্লিশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে তিনি পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা।

জাতীয় রাজনীতিতে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার অভিষেক হয় ১৯৫৭ সালে। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আহ্বানে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার কর্মদক্ষতা নজর কাড়ে মওলানা ভাসানীর। সেখান থেকেই মজলুম জননেতার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে মওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করলে যাদু মিয়া তাতে সম্পৃক্ত হন এবং ১৯৬৮ সালে নিযুক্ত হন দলটির সাধারণ সম্পাদক। ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ভূমিকার জন্য ১৯৬৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মওলানা ভাসানীর আহ্বানে তিনি জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৯ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবের টোবাটকসিংয়ের জনসভায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে ‘গাদ্দার’ বলার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রহসনমূলক বিচারে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পরই তিনি ঢাকা থেকে বেরিয়ে কন্যা রীটা রহমানকে নিয়ে ভারতে চলে যান। যাদু মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর মানিকগঞ্জের ন্যাপনেতা মো. শামসুল হক একান্ত আলাপচারিতায় আমাকে বলেছেন, কীভাবে তিনি আরিচা ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে যাদু মিয়াকে সীমান্ত পার হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাস তিনেক পর যাদু মিয়া বাংলাদেশে ফেরত আসেন এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। বিরুদ্ধবাদীরা অবশ্য বলে থাকেন, যাদু মিয়া স্বেচ্ছায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে তিনি বলেছেন, ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈরী আচরণ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি হানাদার কবলিত স্বদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই মুজিব সরকার যাদু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৭৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু একই বছরের জুন মাসে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ফের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এ যাত্রায় এক বছর পাঁচ মাস কারাভোগ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিব সরকারের পতনের পর নভেম্বর মাসে মুক্তি পান। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর ডাকে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একই বছরের ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানী ইন্তেকাল করলে ন্যাপের নেতৃত্বের আসনে উঠে আসেন যাদু মিয়া। ১৯৭৭ সালে তিনি ন্যাপের চেয়ারম্যান হন, সাধারণ সম্পাদক হন ssঅ্যাডভোকেট এস এ বারী এটি।

১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করেন তার ঐতিহাসিক ১৯ দফা কর্মসূচি। সে কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য একই বছরের ৩০ মে গণভোটের আয়োজন করেন। মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া গণভোটের বিরোধিতা করে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণভোট নয়, সার্বভৌম সংসদ নির্বাচন চায়।’ এ বিরোধিতার কারণে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা যাদু মিয়াকে গ্রেপ্তারের উসকানি দিলেও জিয়াউর রহমান তা কানে তোলেননি। বরং এই বিরোধিতা পরবর্তী সময়ে ‘জিয়া-যাদুর’ সম্মিলন ঘটায়।

১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বঙ্গভবনে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। ন্যাপ চেয়ারম্যান যাদু মিয়া সে বৈঠকে প্রায় চল্লিশ মিনিটের বক্তব্যে গণতন্ত্রে উত্তরণে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিপ্রসূত জোরালো অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেটিক লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক (পরে এরশাদ কেবিনেটের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা) শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি তার ‘বলেছি বলছি বলব’ বইয়ে সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়াকে আখ্যায়িত করেছেন ‘ম্যান অব দ্য ডে’ হিসেবে। মূলত ওই বক্তব্যের পরেই জিয়াউর রহমান তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাকে দিয়ে করতে হবে বুঝে গিয়েছিলেন। বাকশাল-পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠায় যাদু মিয়া পালন করেছেন এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যাদু মিয়ার বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমান তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কৌশলী পদক্ষেপ নেন। তিনি প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে দিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করেন। তারপর ন্যাপ, জাগদল, ইউপিপি, লেবার পার্টি, তপশিলি জাতি ফেডারেশন ও মুসলিম লীগ সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জিয়াউর রহমান সে ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গঠন করেন বিএনপি। এই দল গঠন প্রক্রিয়ায় জিয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যাদু মিয়া। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার লোভে যাদু মিয়া জিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। প্রকৃত পক্ষে তা নয়। এ সম্পর্কে তার দুটি ভাষ্য স্মৃতি থেকে তুলে ধরছি—তখনো বিএনপি গঠিত হয়নি। যাদু ভাইয়ের মগবাজারের বাসায় আমরা মুন্সীগঞ্জ মহকুমা ন্যাপের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গিয়েছিলাম দেখা করতে। একজন সামরিক শাসকের সঙ্গে ক্ষমতা শেয়ার করা সমীচীন হবে কি না, তা নিয়ে সেখানে চলছিল বিতর্ক। মহকুমা ন্যাপের অন্যতম নেতা কাজী নজরুল ইসলাম ও আবু নাসের খান আপত্তি তুলেছিলেন ন্যাপ বিলুপ্ত করে জিয়ার দলে যোগদানের। ঠান্ডা মাথার রাজনীতিবিদ যাদু ভাই ধীরস্থির কণ্ঠে বললেন, ‘গভীর গর্তে পড়ে গেলে আগে বিবেচনায় নিতে হয় সেখান থেকে কীভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়। কে উদ্ধার করল সেটা ভেবে বসে থাকলে গর্তেই পড়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন গভীর খাদে পতিত। সেখান থেকে ওটাকে টেনে তুলতে হলে জিয়াকে আমাদের সহযোগিতা করতেই হবে। তা ছাড়া এ ব্যাপারে হুজুরের নির্দেশনা আছে।’ তৎকালীন ঢাকা জেলা ন্যাপের সভাপতি মো. শামসুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আমার বড় ভাই গিয়াসউদ্দিন খান বাদল যাদু ভাইকে জোরালো ভাষায় সমর্থন করেছিলেন। শ্রীনগর থানা জাতীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিও সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। পরে শামসুল হক ভাইয়ের কাছে শুনেছি, ১৯৭৬ সালের জুন কি জুলাই মাসে অসুস্থ মওলানা ভাসানীকে দেখতে পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি মওলানা সাহেবকে বলেছিলেন, হুজুর আগামী বছর দেশে নির্বাচন দিতে চাই। মওলানা ভাসানী জিয়াকে বলেছিলেন, ‘এখন নির্বাচন দিলে তো আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। আগে তুমি নিজে একটা দল করো, তারপর নির্বাচন দেও। আমি যাদুকে বলে দেব, ওরা তোমাকে সহযোগিতা করবে।’ জিয়া বলেছিলেন, ‘কিন্তু রাষ্ট্রপতি এবং আমি তো বলেছি নির্বাচন দিব।’ মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘সেটা আমার ওপর ছেড়ে দাও।’ এরপর সরকারের খরচে মওলানা ভাসানীকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো হয়। মাসাধিককাল চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায় না।’ হুজুর ভাসানীর এ মন্তব্য নিয়ে কথা উঠেছিল পত্রপত্রিকায়। মূলত এরপরই জিয়াউর রহমান দল গঠনের দিকে অগ্রসর হন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠনের পর ১১ সেপ্টেম্বর যাদু ভাই এলেন আমাদের শ্রীনগর সফরে। শ্রীনগর পাইলট হাই স্কুল প্রাঙ্গণে ছিল জনসভা। নৌপথে অনেক প্রোগ্রাম সেরে আসতে রাত হয়ে গেল। রাত ৮টায়ও মাঠ ছিল পরিপূর্ণ। সভা শেষে তিনি চলে এলেন স্থানীয় ডাক-বাংলোয়। সেখানে রাতের খাবারের আয়োজন ছিল। খাওয়া শেষে বাইরে বেরিয়ে এলেন যাদু ভাই। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। আমি তার পিছু নিলাম। একপর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাই, এই যে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল ন্যাপ বিলুপ্ত করে আমরা বিএনপিতে যোগ দিলাম, এটা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত? বাম হাতে সিগারেট, ডান হাত আমার কাঁধে রেখে তিনি বললেন, ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে দরকার একটি শক্তিশালী জাতীয়তবাদী প্ল্যাটফর্ম, আর দরকার একজন ভিশনারি লিডার। আমার দৃষ্টিতে জিয়া সেই নেতা আর বিএনপি সে প্ল্যাটফর্ম। আজ হয়তো তোরা আমাকে ভুল বুঝছিস। কিন্তু দশ বছর পরে বুঝবি, তোদের যাদু ভাই ভুল করেনি। আমি হয়তো সেদিন নাও থাকতে পারি। আর শোন, আমরা কিন্তু বিএনপিতে যোগ দিইনি, গঠন করেছি।’ তারপর অল্পদিন বেঁচেছিলেন মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে পরে ৯ মার্চ বঙ্গভবনে মিটিং শেষে বাসায় ফিরে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। তার ব্রেইন হেমারেজ হয়ে যায়। সে জ্ঞান আর ফিরে আসেনি। তাকে বাঁচিয়ে তুলতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়া। পশ্চিম জার্মানি থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আনা হয়েছিল; কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ১২ মার্চ চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের এক অতন্দ্র প্রহরী মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া।

বিএনপি আজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। যতদিন এ দেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি চলমান থাকবে, তার পতাকাবাহী দল বিএনপি থাকবে, ততদিন অম্লান হয়ে থাকবে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার নাম।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গ্রিন কার্ডের আবেদনে আসছে বড় পরিবর্তন

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

গাজাবাসীর জন্য রোজা থাকছেন বিশ্বের ১৫০ আলেম

ডেনমার্ক দূতাবাসে চাকরির সুযোগ

সকালে উঠেই কোন ভুলের কারণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি 

গাজা সিটির নতুন এলাকায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলিরা

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় কতটা অস্বস্তিতে ভারত?

সারা দেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬২

নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটাক দখলে নিলেন ববি শিক্ষার্থীরা

১০

আইভরি কোস্ট  / প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে চান ৬০ জন

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১২

গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘের

১৩

আজ আপনার ভাগ্যে কী আছে, দেখে নিন রাশিফলে

১৪

২৮ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

২৮ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা

১৬

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৭

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি দিয়ে জবি ছাত্রীসংস্থার আত্মপ্রকাশ

১৯

২৮ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X