ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

ত্যাগের বদলে ট্যাগের রাজনীতি

ত্যাগের বদলে ট্যাগের রাজনীতি

সমাজের বেশিরভাগ মানুষই নিজের পেশা ও পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিরাপত্তা ও সচ্ছলতা নিশ্চিতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে। তাদের এ পারিবারিক অবদান পরোক্ষভাবে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখে। আর চিন্তা-চেতনায় সমাজের অগ্রসর অংশের কেউ কেউ রাজনীতির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে দেশের জন্য কাজ করেন। তা করতে গিয়ে ঘর-সংসার ও ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হন রাজনীতিবিদরা। রাষ্ট্রীয় অনাচারের বিরুদ্ধে অব্যাহত সংগ্রামে নিজের জীবন বিপন্ন করেছেন অনেক প্রাতঃস্মরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ব্রিটিশবিরোধী থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বহু নেতার ত্যাগ-তিতিক্ষা ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে আছে। বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে ব্যক্তিগত সাধ-আহ্লাদ জলাঞ্জলি দিয়েছেন অনেকে। জনগণ তাদের সম্মান করে। তাদের ত্যাগী চরিত্রকে শ্রদ্ধা করে। সাধারণ মানুষ আশা করে, তাদের নেতা হবে সাহসী, উদার, চরিত্রবান ও পরোপকারী। নিজেরা অকাজ করলেও নেতাকে হতে হবে পবিত্র। যে কারণে রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার লোভ, দুর্নীতি, ব্যক্তিগত স্খলন মেনে নিতে পারে না কেউ। নেতাদের নামে কোনো বদনাম শুনলে, তাতে হামলে পড়ে উৎসাহী জনতা। সমালোচনার ঝড়ে জীবন্মৃত করে ফেলে সংশ্লিষ্ট নেতাকে। অপরাধের বিচারের দাবিতে রীতিমতো করা হয় অনাচার। অভিযোগের ভিত্তিতেই পক্ষে-বিপক্ষে সড়কে নেমে পড়ে সরব সমালোচক।

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ভার্চুয়াল জগতে এখন প্রতিমুহূর্তে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় রাজনীতি ও রাজনীতিবিদকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে অসামাজিক প্রচারণা। প্রকৃত সত্য আবিষ্কার না করেই তিরস্কারে মেতে ওঠে অনেক নেটিজেন। সবাই যেন সবজান্তা শমসের! চোখের সামনে আসা কোনো ইস্যুই ত্যাগ করতে চান না সমালোচকরা। কথায় কথায় চরিত্র হননের প্রতিযোগিতায় নেমে নিজের চরিত্রও উন্মুক্ত করে দেয় তারা। শুধু রাজনীতিবিদ নয়, শিক্ষক-সাংবাদিক-শিল্পী-ব্যবসায়ী-আমলা-সৈনিক-পুলিশ কোনো পেশাজীবীই রেহাই পাচ্ছেন না। কোনো একটি অভিযোগ পেলেই নিষ্ঠুর ট্রলে জেরবার করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। অতীতে করা তার ভালো কাজও সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে। এ প্রবণতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো মহামারি আকার ধারণ করেছে। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর ব্যাধিটি খুবই সংক্রামক। বিভিন্ন স্বনামধন্য গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করেও ভুয়া কার্ড প্রচার করা হয়। মানুষ বুঝে না বুঝে তা শেয়ারের নামে অপপ্রচারে নাম লেখাচ্ছে। হুজুগের এ যুগে মারণাস্ত্রের মতো নির্বিচারে ‘ট্যাগ’ দেওয়া হচ্ছে। মতের মিল না হলেই প্রতিপক্ষের নামে অপমানজনক ট্যাগ লাগিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। এ দুষ্টচক্রে আজকের আক্রমণকারী, কালকে হয়রানির শিকার হয়। তাতে কোনো অনুশোচনা নেই। বিকার থেকে বিকৃতি ক্রমেই বাড়ছে।

দেশের রাজনীতিতে ট্যাগ বা তকমা লাগানো নতুন কোনো বিষয় নয়। সীমিত পরিসরে আগেও ছিল। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত কিংবদন্তি নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও এর হাত থেকে রেহাই পাননি। ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করলেও চীনা সংযোগের অভিযোগে ওই সময় ভাসানীকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল সে দেশে। অথচ স্বাধীনতা অর্জনের তাড়নায় অনেক আগেই পাকিস্তানকে ‘আসসালামুআলাইকুম’ জানিয়েছিলেন নির্লোভ এ নেতা। শুধু ভাসানী নয়, অনেক মহান ত্যাগী নেতাকেও ট্যাগের বদনাম সহ্য করতে হয়েছে। একসময় চৈনিক চর, রুশ-ভারতের দালাল, পাকিস্তানপন্থি, মার্কিন এজেন্ট, উত্তরপাড়ার লোক এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর নামে ট্যাগ লাগানো হতো। সেসবের পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক বিশেষণ আমদানি হয়েছে সম্প্রতি। গত হাসিনা রেজিমে ট্যাগের রাজনীতির বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার বা আওয়ামীবিরোধী সমালোচনা করলেই ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বা ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ তকমা লাগানো হতো। অব্যাহত রাষ্ট্রীয় অপপ্রচারে ‘বিএনপি-জামায়াত’কে প্রায় গালির প্রতিশব্দ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী অনুসারীরা। এ ছাড়া অমুকের লোক, তমুকের দালাল এসব প্রচারণা তো ডাল-ভাত। দুঃখের বিষয়, এসব অনৈতিক উদ্যোগকে উৎসাহ দিতেন স্বয়ং সরকার ও আওয়ামী লীগ প্রধান। এতে করে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতাও বিব্রত হতেন। এখন সরকারবিরোধী সমালোচকদের বলা হয় ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’।

সম্প্রতি এই অসৎ চর্চা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ত্যাগ-তিতিক্ষা ও ইতিবাচক কাজ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলার চেয়ে ট্যাগ দিয়ে পচানো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যে কারণে রাজনীতিতে সুস্থ ধারার চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিশ্বজুড়ে রাজনীতিতে ‘কৌশল’ একটি স্বীকৃত শিল্প। এজন্য গোপন দলীয় বৈঠক, স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শলাপরামর্শ প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এমনকি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরও সহযোগিতা নিয়ে থাকেন রাজনীতিবিদরা। সে কারণে রাজনীতির বাইরেও নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নেন নেতারা। এসব ব্যাপারকেও সন্দেহের চোখে দেখে অনেকে। যদিও আপাতদৃষ্টির নিষ্পাপ কর্মসূচির আড়ালে কোনো কোনো সময় অপকর্ম হয়ে থাকে। আর শর্টকাট পথে লোভী নেতৃত্বের উত্থানে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতার বিকল্প নেই। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠকে প্রচুর আলোচনা হলেও সমাধানে অগ্রগতি কম। এতে মান-অভিমানের পাশাপাশি ধৈর্যহারা হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক বাহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

গত রোববার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে একমত হচ্ছি আমরা। কিন্তু এখানে কিছু কিছু দল একেবারে নিজেদের অবস্থানে অনড়। যদি এভাবে চলতে থাকে, কেয়ামত পর্যন্ত কোনো ঐক্যের সম্ভাবনা দেখি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনোভাবেই শতভাগ ঐক্যের জায়গা তৈরি হবে না। এজন্য আমরা বারবার বলেছি, কতটুকু পর্যন্ত আলোচনায় একমত হলে তাকে ঐকমত্য বলবেন কিংবা কতটি দল একমত থাকলে সেটাকে ঐক্য বলবেন, এটার একটা মাপকাঠি ঐকমত্য কমিশনকে নির্ধারণ করা দরকার। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে বলেছি, আপনারা এখানে রেফারির ভূমিকায় আছেন, সবার আলাপ-আলোচনা শুনে আপনাদের একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ নুর হয়তো যথার্থই বলেছেন। তবে, অকাট্য যুক্তি দিলেও আলোচনার টেবিলে অংশগ্রহণকারী সবাই সমান গুরুত্ব পায় না। দলীয় গুরুত্বও বিবেচনায় রাখা হয়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি আধা সরকারি দলের সুবিধা ভোগ করছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও রয়েছে।

এ পর্যায়ে এনসিপি দাবি করছে, তারা তিনশ আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে। গত রোববার জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘পার্লামেন্ট এখন খালি রয়েছে। এই পার্লামেন্টে সংস্কার কমিশন বা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ৪০০ আসন হবে। এসব আসনের মধ্যে ৩০০ আসন এনসিপির ঘরে থাকবে। এনসিপি পার্লামেন্টে জাতীয় সরকার গঠন করবে।’ তার এ আশা নিয়ে রীতিমতো ট্রল হচ্ছে। কেউ কেউ তাকে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের সঙ্গে তুলনা করছেন। এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে রাজনৈতিকভাবেই দেখা উচিত। বিএনপি মনে করে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা সরকার গঠন করবে। দলীয় সক্ষমতা বিবেচনায় সাধারণ মানুষও তাই মনে করে। তবে নেতাকর্মীদের দখলবাণিজ্য এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিব্রত হয় বিএনপি। সাধারণ মানুষও বিরক্ত হয়। যদিও দলটির হাইকমান্ড এর বিরুদ্ধে তার কঠোরতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জামায়াত এসব প্রচার করে জনসমর্থন বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। জেনে-বুঝে নিজ দলের সক্ষমতা বাড়াতে নানা ধরনের কৌশল নিয়ে থাকে দলগুলো। অনেক সময় অবান্তর বিষয়ে বিতর্ক তুলে নিজেকে পরিকল্পিতভাবে হাস্যকরও বানায়। এরকম ক্ষেত্রে দার্শনিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, ‘সে কিছুই জানে না এবং সে ভাবে যে, সে সব জানেন। এটি একটি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।’

জনকল্যাণে রাজনীতির কথা বলে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন অনেকে। যদিও সে সম্পদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভোগের সুযোগ পাননি তারা। বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রাজনীতিকে শুধু শুধু কলুষিত করেছেন। একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের জন্য জামায়াতের ক্ষমা না চাওয়া রাজনীতিতে একটি দুষ্টক্ষত। চব্বিশের জন্য অনুশোচনা না থাকায় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের টিকে থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। অপার সম্ভাবনা থাকার পরও বিএনপি নেতাদের আওয়ামী আচরণে ভবিষ্যৎ কণ্টকিত। কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানোর মতো এনসিপির স্বাদ দিন দিন পানসে হয়ে যাচ্ছে। তারা সবাই ১৭ কোটি জনগণ নিজেদের দাবি করে রাজনীতির মাঠ গরম করছে। দলীয় স্বার্থে নানারকম কর্মসূচি দিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ করছে। বিশ্বনন্দিত রাজনীতিবিদ নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘রাজনীতি যদি সেবা না হয়, তবে তা নিপীড়নের অন্য রূপ।’

তাই রাজনীতি হোক জনমুখী, ত্যাগী নেতাদের হাতিয়ার। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন তথা দেশের উন্নয়ন হতে হবে প্রধান এজেন্ডা। সেটা যারা সফলভাবে দৃশ্যমান করতে পারবে, তারাই পাবে ফুলের মালা।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার ইরানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন ট্রাম্প

সিলেটে যুবদলের দুগ্রুপের সংঘর্ষ

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সরকারের কর্মসূচি 

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল সুনিভার্স ফুটওয়্যার লিমিটেড

‘আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে’

সংবাদ সম্মেলন পেছালেন বিএনপি নেতা ইশরাক

চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনে ৭ উপ-কমিটি বিএনপির

মক্কা-মদিনায় কোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়?

স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিদায়ে যে সম্মান জানালেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

১০

নেতানিয়াহু ‘বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন’ বললেন ট্রাম্প

১১

আবারো বাঙলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নাহিদা পারভীন

১২

ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব

১৩

বগুড়ায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ

১৪

নরসিংদী ডিসি কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

১৫

ছবিতে ইরানের সবশেষ হামলায় ইসরায়েলের ক্ষতচিহ্ন

১৬

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেতা, কারাগারে রাখার নির্দেশ

১৭

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসপাতালে ২ শিক্ষার্থী

১৮

নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও গণহত্যার বিচার হতে হবে : বুলবুল

১৯

বিএনপি জনগণের দলে পরিণত হয়েছে : মিন্টু

২০
X