প্রভাষ আমিন
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৭ এএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আওয়ামী লীগের ভুল ও শিক্ষা

আওয়ামী লীগের ভুল ও শিক্ষা

বাংলাদেশে এখন সক্রিয় ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো আওয়ামী লীগ। শুধু বয়সে পুরোনো বলেই নয়, আদর্শ, গুরুত্ব, অবদান—সব বিবেচনায়ই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারী রাজনৈতিক সংগঠন। শুধু বাংলাদেশ নয়, এ উপমহাদেশ, এমনকি বিশ্বেও প্রভাববিস্তারী সংগঠনের তালিকা করলে তাতে ঠাঁই পাবে আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বারবার ভেঙেছে আওয়ামী লীগ, চেষ্টা হয়েছে ধ্বংসের। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ থেকে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, লড়াই করেছে। বাংলাদেশের ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পরে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বিকশিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। গত ৪২ বছর ধরে সেই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে দেশ শাসন করছে। আগের টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। সত্যি বলতে বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই অভাবনীয় উন্নতির সময়েই কঠিন সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি তৃণমূলে বিস্তৃত তাদের সাংগঠনিক কাঠামো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছয় বছর উদ্বাস্তু জীবনযাপন শেষে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নয়, ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগকেও। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যে আওয়ামী লীগের হাল ধরতে পেরেছিলেন, সেটা এই তৃণমূলে ছড়িয়ে থাকা সংগঠন এবং ত্যাগী নেতাদের কারণেই। দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে অনেকগুলো লড়াই একসঙ্গে চালাতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। গণতন্ত্রকে সামরিকতন্ত্রের কবল থেকে উদ্ধার করতে লড়তে হয়েছে। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে লড়তে হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে লড়তে হয়েছে। এ লড়াইয়ে তার পাশে ছিল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ বরাবরই নির্বাচনী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এমনকি একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের ম্যান্ডেটও আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭০-এর নির্বাচনে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। সেই প্রবল প্রতিকূল সময়েও ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩৯ আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর যত নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, সব নির্বাচনেই তাদের ভোট বেড়েছে। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সেই আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। যে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেই তৃণমূলই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ। তৃণমূলে বিস্তৃত আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন আওয়ামী লীগকে দুর্বল করছে।

এখন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এখনই ভেঙে পড়েছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। এটা বাংলাদেশের পুরোনো ব্যামো। হুন্ডা, গুন্ডা, ডান্ডা; নির্বাচন ঠান্ডা—এই ছড়া একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, এরশাদের আমলে ’৮৬ ও ’৮৮-এর সংসদ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার আমলে ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচন—খারাপ নির্বাচনের তালিকা অনেক লম্বা। এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে ২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচনও। বিএনপি অংশ না নেওয়ায় ২০১৪ সালের নির্বাচনটি হয়েছে একতরফা। সেই নির্বাচনে ভোটারও কম ছিল, প্রার্থীও কম ছিল। এ কারণে নির্বাচনের আগেই সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আইনগত সমস্যা না হলেও নৈতিক প্রশ্ন ওঠে। তবে প্রশ্নে ২০১৪ সালকেও ছাড়িয়ে যায় ২০১৮ সাল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে এলেও বিএনপি আসন পায় মাত্র ছয়টি। বিএনপি সেবার নিজেদের নিবন্ধন রক্ষা করতে নির্বাচনে এসেছিল। জয়ের লক্ষ্য তাদের ছিল না। তাই আসন সংখ্যার চেয়েও ভোটের ধরন, সংখ্যা, আগের রাতে ভোট করার অভিযোগ—২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সংশয় তৈরি করে। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়েও সমালোচনা কম নয়। একটা কথা মানতেই হবে, এবারের নির্বাচন ২০১৪ বা ২০১৮-এর মতো হয়নি। বিএনপি বর্জন করলেও এবার কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেননি। রাতের ভোটের অভিযোগও কেউ করেননি। এটা মানতেই হবে, এবারের নির্বাচন পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হয়নি। বিএনপি অংশ না নিলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় তাকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। তাই ভোটার উপস্থিতিও কম ছিল। এবারের নির্বাচনের মূল সমালোচনা হলো ভোটার উপস্থিতি। যাদের বর্জনের কারণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে পারল না, তারাই যদি ভোটার উপস্থিতি বা অংশগ্রহণমূলক না হওয়া নিয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে সেটা যৌক্তিক হয় না।

২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ শিক্ষা নিয়েছে। তাই প্রয়োজনে ডামি প্রার্থী দিয়ে হলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ ঠেকানো হয়েছে। রাতের ভোটের অভিযোগ ঠেকাতে এবার ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটের দিন সকালে। আর ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে এবার আওয়ামী লীগ তাদের বিদ্রোহীদের জন্যও নির্বাচন করার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়। ফলে সারা দেশে নির্বাচনে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ তৈরি হয়। নির্বাচনে যে ৬২ জন স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন, তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত। তবে মাঠ উন্মুক্ত থাকার সুবাদে এবার আওয়ামী লীগের এমপিরা তো বটেই, হেরেছেন মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারাও।

তবে আসল সমস্যাটা ছিল আওয়ামী লীগের ঘরে। পরপর দুটি নির্বাচনে অনায়াসে জয় পেয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের রিল্যাক্স ভাব এসে গিয়েছিল। নানান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে তাদের গায়ে চর্বি জমে গিয়েছিল, সেই লড়াকু মনোভাব খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এবং সহজে জয় পেয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জনবিচ্ছিন্ন করে তুলেছিল। স্থানীয় নেতাদের নানাবিধ অপকর্মে ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ মানুষ। জনগণের সঙ্গে তো নয়ই, এমনকি মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গেও নেতাদের যোগাযোগ ছিল না। শেখ হাসিনার সরকার দেশকে যতটা এগিয়েছে, সংগঠন তার সঙ্গে পাল্লা দিতে তো দিতে পারেইনি, বরং সংগঠনের অপকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারের ভাবমূর্তি। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, কোনোরকমে আওয়ামী লীগের প্রতীক ‘নৌকা’ পেলেই হলো। জিতিয়ে আনার দায়িত্ব শেখ হাসিনার। যদিও শেখ হাসিনা অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলেন, এবারের নির্বাচন সহজ হবে না। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জিততে হবে। কিন্তু দলের নেতারা তার কথা আমলে নেননি। ভেবেছেন কথার কথা। আসলে ক্ষমতার স্রোতে অনেক পানি যেমন এসেছে, এসেছে অনেক কচুরিপানাও। সেই কচুরিপানায় আটকে যেতে বসেছিল নৌকার অগ্রযাত্রা। সেই কচুরিপানা সরিয়ে আওয়ামী লীগের নদীতে আবার স্রোত আনতেই শেখ হাসিনা এবার নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তাতেই উন্মুক্ত হয়ে যায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতা। ‘নৌকা’ পেলেই জয় নয়, জিততে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে—এ বার্তাটা শেখ হাসিনা এবার ভালোভাবেই দিতে পেরেছেন। ৬২ জন তো হেরেছেনই, ঘাম ঝরাতে হয়েছে আরও অনেককেই। বলা ভালো ২০১৪, ২০১৮-এর মতো অনায়াস জয় পাননি কেউই। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হেরেছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর কাছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হেরেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে, বিমান প্রতিমন্ত্রী প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন ফেসবুক সেলিব্রেটির কাছে, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী শুধু পরাজয় নয়, তৃতীয় হয়েছেন। অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছেন কে কত বড় নেতা, বড় মন্ত্রী তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তারা যাকে কাছে পাবে তাকেই ভোট দেবে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগ আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীক না দিয়ে উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে জিততে হলে আওয়ামী লীগ নেতাদের আবার জনগণের কাছে যেতে হবে। অপকর্ম করার আগে তারা দশবার ভাববে। অনেকে বলছেন, এভাবে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিলে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বটাও উন্মুক্ত হয়ে যায়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দল। কিন্তু নির্বাচন উন্মুক্ত না রাখলে তো আর অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটে যাচ্ছে না। তাই ময়লাটা কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রেখে সেটা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। শেখ হাসিনা কৌশলে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে প্রতিযোগিতায় বদলে দিয়েছেন। যারা জনপ্রিয়, তারাই জিতবেন। আর যেই জিতুক; সবাই তো শেখ হাসিনার, সবাই তো আওয়ামী লীগের।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগ এবার নেতাদের আবার জনগণের কাছে পাঠাতে পেরেছে। যারা যেতে পারেননি, তারা হেরেছেন। আশা করি, এবারের নির্বাচনের শিক্ষা আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘুম ভাঙাবে, সংগঠন নিয়ে তারা আবার জনগণের কাছে যাবেন, তৃণমূল আবার শক্তিশালী হবে এবং আওয়ামী লীগ পরিণত হবে জনগণের সংগঠনে।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খেলাধুলাই পারে বাংলাদেশের মানুষকে এক কাতারে আনতে : জাভেদ ওমর

জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, রোগীর মৃত্যু

পাইপলাইনে গ্যাস, ১০ বছরেও আবেদন করেনি কেউ!

নারায়ণগঞ্জে নারী কাউন্সিলর লাঞ্ছিত, অতঃপর...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল

জামায়াতকে একমঞ্চে চায় ১২ দলীয় জোট

সৈয়দপুরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ

মেক্সিকোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, ধ্বসে পড়েছে রাস্তাঘাট

‘সরকার দুর্নীতি দমন না করে বিএনপি দমনে ব্যস্ত’

১০

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ

১১

ইউএস ট্রেড শো ২০২৪ / সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার জিতে শেষটা রাঙিয়ে তুলল রিমার্ক-হারল্যান

১২

সোমবার রাতে কুতুবদিয়ায় পৌঁছবে এমভি আব্দুল্লাহ

১৩

জিপিএ-৫ পেল মেয়ে, দুশ্চিন্তায় রিকশাচালক পিতা

১৪

মুখস্থ শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

১৫

রাশিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৭

১৬

বহুমুখী শিক্ষায় সীমাখালী ইসলামিয়া আইডিয়ালের ঈর্ষণীয় সাফল্য

১৭

অংকে ফেল করায় গলায় ফাঁস নিল কিশোরী

১৮

ইসরায়েলে পুলিশ-জনগণ সংঘর্ষ, ভয়ংকর বিপদে নেতানিয়াহু

১৯

পা দিয়ে লিখেই এসএসসি পাস করল সিয়াম

২০
X