শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টিভিতে প্রেসিডেন্টকে দেখতে না চাওয়ায় ছয় মাসের জেল

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি কারাগারে বসে টেলিভিশনে সংবাদ দেখছিলেন। সেই সংবাদে একপর্যায়ে দেশের প্রেসিডেন্টের খবর প্রচার হতে থাকে। তখন ওই বন্দি সেই খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানায়, তাই ওই বন্দিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তিউনিশিয়ার এক কারাগারে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক খবরে বলা হয়, তিউনিশিয়ার এক কারাগারে প্রেসিডেন্টের খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক কারাবন্দিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কারাগারে নিজের সেলে টেলিভিশনে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তিউনিশিয়া হিউম্যান রাইটস লিগ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট সাইদের একটি টেলিভিশন সংবাদ অনুষ্ঠান চলাকালে ওই বন্দি সেটি দেখতে রাজি হননি। এতে প্রেসিডেন্টের প্রতি ওই বন্দির নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে—কর্তৃপক্ষের কাছে এমন অভিযোগ করেন তার সেলের অন্য বন্দিরা (কোয়ার্টারমেট)।

প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহ, পরে ‘শালীনতার লঙ্ঘন’

অন্যদিকে, ওই বন্দির আইনজীবী আদেল সঘাই জানান, প্রথমে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অপরাধের’ অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করে ‘শালীনতার লঙ্ঘন’ হিসেবে দণ্ড দেওয়া হয়, যেন বিষয়টিকে রাজনৈতিক না দেখায়।

সঘাই বলেন, ‘আমার মক্কেল শুধু একটি খবর না দেখার কারণে সাজা পাচ্ছেন। এটা বাকস্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

বন্দির পরিবার জানায়, তারা ভাবতেও পারেননি, টিভি না দেখার মতো ঘটনায় অতিরিক্ত সাজা হতে পারে। ওই ব্যক্তি আগেও অবৈধ অভিবাসনের এক মামলায় আটক ছিলেন, যেটি পরে খারিজ হয়ে যায়।

আইনজীবীর দাবি, বন্দি প্রেসিডেন্ট সাইদের বিরুদ্ধে একবার ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘তুমি আমার জীবন ধ্বংস করেছ।’

তার অভিযোগের ইঙ্গিত ছিল তিউনিশিয়া ও ইতালির মধ্যে হওয়া এক অভিবাসন চুক্তির দিকে। যার কারণে তিনি ইতালিতে বৈধতা হারান।

কাইস সাইদ ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে সংসদ বিলুপ্ত করেন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংকুচিত করেন।

এই পদক্ষেপগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও পর্যবেক্ষকরা তিউনিশিয়ার সাংবিধানিক ও নাগরিক স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১০

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১১

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১২

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৩

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৪

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৫

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৬

দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

১৭

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়ক সাইফুল হক

১৮

পুরোনো রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই : মঞ্জু

১৯

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা দেখার জন্য শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন : স্বপন

২০
X