কদিন আগেই ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ—দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। গুঞ্জন আছে, ফের তিন সংস্করণের অধিনায়ক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনো দুপক্ষের মধ্যে অনেক আলোচনার বাকি। গুঞ্জন আছে, সাকিব না চাইলে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রস্তাব দিতে পারে বোর্ড। তবে সামনের দুই টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখেই সাকিবকে ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। গতকাল বিকেলে মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেছেন তিনি।
২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে সাদা বলের দুই সংস্করণের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় ওয়ানডেতে তামিম ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সর্বশেষ এশিয়া কাপের পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের নেতৃত্ব ফিরে পান সাকিব। এবার আরও একটি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ৫০ ওভারের সংস্করণে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকেই চান সুজন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে লিটনের অবদানকেও স্মরণ করেছেন তিনি। সুজন বলেছেন, ‘এখন আমি কীভাবে বলব লিটন দাস না! সে তো সিরিজ জিতেছে ভারতের বিপক্ষে। যাই হোক, সাকিব তো অবশ্যই এগিয়া থাকবে এখানে; সাকিবের মাথা (বুদ্ধি), অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। কিন্তু তারপরও আমি লিনটকেও ছোট করতে চাই না। কারণ, লিটন অতীতে খুবই ভালো কাজ করেছে (অধিনায়ক হিসেবে)। আমি মনে করি, যে দলে সাকিব আছে, সে দলে এখন সাকিবকে দেওয়াটাই ঠিক। আমি হলে হয়তো বা সাকিবের কথা চিন্তা করতাম।’ ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে জেতা অধিনায়ক লিটন; আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে টেস্ট জেতা ম্যাচেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সবকিছু মেনে নিয়েই সাকিবকেই বড় ‘অপশন’ মনে করেন সুজন, ‘লিটন যে তৈরি না (অধিনায়ক হতে), এটাও বলাটা ঠিক হবে না। ক্লাব পর্যায়ে খেলেছে, জাতীয় দলে খেলছে, তার অভিজ্ঞতাও অনেক ভালো। যেহেতু ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে, তাই লিটনের কথা বারবার আসবে। কিন্তু এখনো সাকিব যেহেতু আছে, আমার মনে হয় আমাদের হাতে খুব ভালো একটা চয়েজ আছে।’
অবশ্য এখনকার সময়ে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে চাইলেও ভবিষ্যতের জন্য লিটন, মিরাজদেরও তৈরি থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লিটন, শান্ত (নাজমুল হোসেন), মিরাজ তারা তৈরি হবে। তাদেরই অধিনায়কত্ব করতে হবে। তাদের হাতেই আর্মব্যান্ড যাবে। তামিম করবে না, সাকিব একসময় অবসরে যাবে। একসময় মুশফিক অবসরে যাবে। তখন এরাই সিনিয়র হবে।’ সুজনের সুরে কথা বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। নতুন অধিনায়ক প্রসঙ্গে বিসিবির চাওয়া হিসেবে তিনি গ্রহণযোগ্য কাউকেই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সুতরাং বলাই যায়—বর্তমান দলে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিবই হতে পারেন সেরকম কেউ একজন। হয়তো সে কারণেই সুজনও চান, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। তবে সব কিছু নির্ভর করছে সাকিব ও বোর্ডের আলোচনার ওপর।
মন্তব্য করুন