

পুরস্কার বিতরণী শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন অধিনায়ক লিটন দাস। চোখেমুখে অস্বস্তির চাপ স্পষ্ট। ঘরের মাঠে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তার দল। পরপর চার সিরিজ জেতা দলের এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই অধিনায়কের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তবে লিটন তার সতীর্থদের ওপর আস্থার কথা বলে গেছেন। এত এত ব্যর্থতার পরও অধিনায়কের বিশ্বাস, খুব দ্রুতই ছন্দে ফিরবে তার দল। কদিন পরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন তারা—সেখানেই হয়তো লিটনের আস্থার প্রতিদান দেবেন স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা। একটা সিরিজ পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন লিটনরা। উইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্স দলের দুর্বলতাগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তুলল। সিরিজের শুরুতেই এমন কিছু দেখতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে সেক্ষেত্রে ব্যাটারদের চেয়ে বোলারদের বেশি চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সিরিজে যদিও হলো উল্টো। ঠিকই চাপে পড়েছিল তার দলের ব্যাটাররা। সেটা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলিরা। লিটনের ভাষ্য মতে এখানেই যত দুশ্চিন্তা, ‘দেখেন, এমন না যে আপনি শুধু এখানে (চট্টগ্রাম) চাপে থাকবেন। চাপে তো সব জায়গায় পড়তে হয়। হ্যাঁ, একটা জিনিস হচ্ছে যে—আমরা যে জিনিসটা চেয়েছিলাম, চাপ থেকে ম্যাচে ফেরা, ওই জিনিসটা পারিনি। চাপে তো আমরা পড়েছি তিনটা ম্যাচেই। কিন্তু আমরা ফিরে আসতে পারিনি। এটা একটা চিন্তার জায়গা যে, আমরা কীভাবে ওখান (চাপ) থেকে ফিরে আসব।’
লিটন যে চাপ চেয়েছিলেন, সেটা তার দলই ভুগেছে, প্রতিপক্ষ নয়। প্রথম দুই ম্যাচে যেমন পরের ব্যাটিং করা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে হেরেছিল। উইন্ডিজ শেষ ম্যাচে তা করেনি। চাপ আসার আগেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। লিটন নিজেদের ওপর চাপের কথাটা মেনে নিলেন এভাবে, ‘আমি আগেও বলেছিলাম যে, আমি চাই যে এখান থেকে একটা কঠিন চাপ আসুক। আমার মনে হয়, তারা আমাদের সব জায়গা থেকে সেই চাপ দিয়েছে। তারা ভালো বোলিং করেছে। আমাদের ব্যাটিংও খুব ভালো হয়নি। তবে অবশ্যই, আপনি তো খারাপ সিরিজ ধরে রেখে চলবেন না।’
বেশ কয়েকটি সিরিজে ব্যাটিং দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সিরিজ জিতলেও সেটা দলগত পারফরম্যান্স খুব কমই ছিল। বিশ্বকাপের আগে আরও ভয় দেখাচ্ছে মিডল অর্ডার। সব মিলিয়ে শঙ্কা দেখেন কি না প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘চিন্তা করার বিষয় না, এখানকার খেলোয়াড়রা প্রমাণিত। তারা জাতীয় দলে অনেক দিন ধরে খেলে আসছে। কিছু কিছু সময় একটা সিরিজ আমাদের বাজে যেতে পারে। তবে যেই খেলোয়াড়গুলো খেলেছে, সবাই প্রমাণিত। দু-একজন ভালো করে সবসময়।
মন্তব্য করুন