সাফ মিশন শেষে আজ ঢাকা ফিরছেন জাতীয় দলের সদস্যরা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি ফ্লাইটে করে দুপুরে ঢাকা নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। বেঙ্গালুরুর আসরে লাল-সবুজদের নৈপুণ্য ছিল ইতিবাচক, যা দুঃসময় পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মঞ্চে নতুনভাবে তুলে ধরার পথ প্রশস্ত করেছে। কেমন ছিল এবারের পারফরম্যান্স, ভবিষ্যতে করণীয় কী—এ নিয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন ফুটবল বিশ্লেষক।
হাসানুজ্জামান খান বাবলু
কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশের নৈপুণ্য অবশ্যই ইতিবাচক ছিল। কিন্তু তাতে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কিছু দেখছি না। নিকট অতীতের হতাশজনক নৈপুণ্যের কারণে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে। যারা এমনটি মনে করছেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। বিগত কয়েক বছর বৈশ্বিক আসরে যে বাংলাদেশকে আমরা দেখছি, সেটা প্রকৃত বাংলাদেশ নয়। প্রকৃত বাংলাদেশের তো কুয়েতের বিপক্ষে লড়াই করার কথা। মালদ্বীপ ও ভুটানকে হারানোর পর অনেকে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে ভুটান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে নিয়মিত জেতা উচিত। বেঙ্গালুরুতে উজ্জীবিত ফুটবল খেলার পর বাংলাদেশি ফুটবলামোদিদের মতো আমিও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।
মামুনুল ইসলাম
প্রথম ম্যাচ থেকে সেমিফাইনাল— প্রতি ম্যাচেই বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। দলের নৈপুণ্য ছিল দারুণ। বাংলাদেশ দলের সদস্যরা দেখিয়েছেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারি। এ আসরে ব্যতিক্রমী বিষয় ছিল বাংলাদেশের খেলার ধরন। পারফেক্ট নাম্বার নাইন না নিয়েও যে ভালো ফুটবল খেলা যায়, সেটা প্রমাণ করেছে এ দল। শেখ মুরসালিন, রাকিব হোসেন ও তারিক কাজীরা প্রয়োজনের মুহূর্তে গোল করেছেন। আসলে গোটা দলেরই তাতে ভূমিকা ছিল। শেখ মুরসালিনের কথা আলাদাভাবেই বলতেই হবে। সে দারুণ প্রতিভাবান ফুটবলার। সে প্রতিভা বিকাশের জন্য তাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে।
মন্তব্য করুন