২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে সিমেন্ট শিল্প অতিরিক্ত করের চাপসহ নানা সংকটে পড়বে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ও ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির।
এ সময় তিনি চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য আট প্রস্তাব লিখিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাক-বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো বিবেচনার আবেদন করা হয়। তখন এনবিআর বিষয়গুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেনি। উল্টো কর আরোপ করা হয়েছে।
আলমগীর কবির বলেন, ঘোষিত বাজেটে ক্লিংকারের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্কসহ অগ্রিম আয়কর, জ্বালানি সংকট, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, ডলার সংকটসহ নানা সমস্যায় সিমেন্ট শিল্প খাত এখন কঠিন সময় পার করছে।
ক্লিংকারের কাঁচামাল আমদানি শুল্ক চলতি বাজেটে প্রতি টন ৫০০ টাকা আছে। তা কমিয়ে ২০০ টাকা নির্ধাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক না কমিয়ে উল্টো টনপ্রতি আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ করা হয়েছে। সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ১২ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবে ভোক্তার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন