ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আমরা ‘সিঙ্গাপুরের মডেল’ অনুসরণ করে মাঠ পর্যায়ে মশার আধার নির্মূলে কাজ করছি। ৭৫ ওয়ার্ডের মধ্যে যেগুলোয় গত এক সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, সেগুলোকে লাল বা বিপজ্জনক চিহ্নিত করে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকার সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই বিশেষ অভিযান চলছে। গতকাল শনিবার বাসাবো কালীমন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তার রোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন দক্ষিণে ৭০ জনের মতো রোগী আছে। তারপরও আমরা তৃপ্তি প্রকাশ করছি না। আগে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম ব্যাপক আকারে পরিচালিত হতো। এখন রোগী কম। বৃষ্টির মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তাই আমরা বৃহৎ আকারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
শেখ তাপস বলেন, এখন ভাদ্র মাস, ভরা মৌসুম। সুতরাং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আমরা আরও বেগবান করেছি। আমাদের লক্ষ্য—মশক প্রজননের আধার বিনষ্ট করা। যতই প্রজনন উৎস কমানো যাবে, আমাদের কার্যক্রম ততই ফলপ্রসূ হবে। এজন্য জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আমরা এই কার্যক্রম নিয়েছি।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট চুক্তির কোনো ব্যত্যয় করেনি। তবে ব্যত্যয় পেলে ব্যবস্থা নেব।’ উত্তরে একটি ঘটনা ঘটলেও দক্ষিণে মার্শাল নিয়ম মেনেই কাজ করছে। আমরা কারও মাধ্যমে (কীটনাশক) আমদানি করি না। ২০১৯ সালের পর থেকে আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি আমদানি করি।
গত দুই সপ্তাহ পর্যালোচনা করে ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে বলে জানান মেয়র। এ সময় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন