ব্রিকস জোটে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ব্রিকস সম্মেলনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় যাননি। এ সম্মেলনে মোট ৪০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৬টি দেশকে নতুন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অন্য কোনো সম্মেলনে সদস্যপদ দেওয়া হতে পারে। সুতরাং গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপারটা সদস্যপদ না পাওয়া সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এখন সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠছে, যার ফলে কিছু সুবিধাভোগী মৌলবাদী ও জঙ্গিরা সেখান থেকে সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এই সেমিনার উদ্বোধন করেন। সিজিএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহান্স ভ্যানদার ক্ল্যাও, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী, মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজের (গবেষণা) পরিচালক ড. এম সঞ্জীব হোসেন প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক জামিলা এ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন