দেশের বর্তমান রাজনীতিতে বেশি বেশি নূরে আলমের মতো সাহসী নেতৃত্বের দরকার। স্বাধীন শোষণমুক্ত দেশ তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু যে দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করেছেন তিনি। এ রকম পরিশ্রমী নেতা আজকের সমাজে দেখা যায় না। নূরে আলম সিদ্দিকী স্মরণ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নূরে আলম ছিলেন গণতন্ত্রমনা ও একজন সাহসী নেতা।
গতকাল রোববার বিকেলে ‘নূরে আলম সিদ্দিকী স্মরণ নাগরিক কমিটির’ উদ্যোগে ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে আবেদ খান বলেন, যে জাতির একটি বিজয় দিবস থাকে, সে জাতির কখনো পরাজয় হয় না। জাতিকে বিজয়ী করার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সততা ও ত্যাগ হারিয়ে ফেলেছি। ছাত্রলীগের নতুন প্রজন্মের কাছে সেই সততা ও ত্যাগ প্রত্যাশা করি। সেজন্য নূরে আলমের সততাকে হৃদয়ে ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ছয় দফা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ—সব আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নূরে আলম। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ছাত্রলীগ, ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্পৃহা তৈরি করেছেন। তার মতো মানুষের দেশের রাজনীতিতে আরও বেশি সময় প্রয়োজন ছিল বলেও দাবি করেন নানক।
স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চিত্রশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী এবং নূরে আলম সিদ্দিকীর জীবনী থেকে পাঠ করেন অনিকেত রাজেশ। বক্তব্য দেন লেখক ও সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, নূরে আলম সিদ্দিকীর জ্যেষ্ঠ সন্তান তাহজীব আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
মন্তব্য করুন