দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৮ লাখ ৭৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ৫ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। বেসরকারিতে ভর্তির আবেদন পড়েছে তিন লাখের বেশি। আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও স্কুলগুলোতে আড়াই লাখ আসন খালি থাকছে। সরকারি স্কুলে এক আসনের বিপরীতে আবেদন প্রায় পাঁচজনের। বেসরকারি স্কুলগুলোতে মোট আসনের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ফাঁকা থাকছে।
শিক্ষার্থীপ্রতি ক্লাস্টারের একই আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পাদন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। সে কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোট ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২ শিক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৩টি আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক এবং ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন।
গতকাল রোববার আজিজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকাল ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করবেন।
সূত্র জানিয়েছে, এবার স্কুলগুলোতে মোট আসন রয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আসন রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। তারা মোট ৮ লাখ ৯২ হাজার ৮১টি আবেদন করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ জন। তারা মোট ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭২টি আবেদন করেছে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর থেকে। ১৮ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছে শিক্ষার্থীরা, ফি ছিল ১১০ টাকা।