চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (এসএমএমইউ) স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের কথা রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম একনেক সভা বসছে আজ। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকে অনুমোদনের জন্য ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এ ছাড়া বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের আরও ১৪টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ জন্য প্রকল্প প্রস্তাবগুলো যা একনেক বৈঠকের কার্যতালিকার জন্য চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। এটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টি করা হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুন থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিলেট জেলা ও এর আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ চালু এবং উন্নতমানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা জনশক্তি ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হবে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৮০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয়, ভূমি উন্নয়ন, দুটি আবাসিক ও ১০টি অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, পরামর্শক ব্যয়, চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয়, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি (এয়ারকুলার, লিফট) সরবরাহ, অফিস ও আইসিটি ইকুইপমেন্ট এবং আসবাব ক্রয়। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানো এবং স্নাতকোত্তর স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রসারে প্রত্যেক বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা’র বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় চিহ্নিত সূচকগুলোর অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে। পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
মন্তব্য করুন