কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতাকর্মীদের বের করা হয়নি

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি
বিএনপির লোগো।
বিএনপির লোগো।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে হামলায় আহত কুমিল্লা উত্তর জেলা ও মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আখন্দ জেনারেল হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এ ঘটনায় আহতদের তিনজন এখনো সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার আকন্দ জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার নাছির উদ্দিন ইকবাল বলেন, ১৪ জুলাই দুপুরে প্রায় ৩০ ব্যক্তি শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কোনো এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানান তারা। তাদের মধ্যে ৯ জনকে ভর্তি রেখে সেদিনই বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের দেখতে আসাদের কাছে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, তারা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে গত ২০ জুলাই তিনজনকে ভর্তি রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ২১ জুলাই রাতে চেকআপ করাতে তাদের কয়েকজন আবার হাসপাতালে আসেন এবং বেড নিয়ে রাত কাটান।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২২ জুলাই সকালে সাদা পোশাকে তিনজন এসে ডিএসবি সদস্য বলে পরিচয় দেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে—তাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তারা এ বিষয়ে কিছু জানে কি না জানতে চান। তবে এমন

কিছু জানা নেই বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে পুলিশ আসার খবরে চেকআপ করাতে আসাদের কয়েকজন তাড়াহুড়া করে হাসপাতাল ছেড়ে যান বলে জানান ইকবাল।

গত ২২ জুলাই পুলিশ পরিচয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন নেতাকর্মীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়, যা হাসপাতাল চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার নিশ্চিত করে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে ম্যানেজার ইকবাল জানান, মিডিয়ায় কী প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের চেয়ারম্যান বা কর্তৃপক্ষের কেউ এ ধরনের কথা বলেননি। এমনকি ওইদিন কাজী তাহমিনা আক্তার হাসপাতালে ছিলেন না বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালের কাগজপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ১৪ জুলাই ভর্তি করা রোগীর সবাইকে ২০ জুলাই ছাড়পত্র দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এরপর আর এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো রোগী ভর্তি থাকার রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ২১ তারিখ রাতে চেকআপ করতে আসাদের ভর্তির কোনো রেকর্ডও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কোনো সদস্য হাসপাতালে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেজর জলিল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি : রাশেদ প্রধান

মডেল-অভিনেত্রী জিনা লিমার রহস্যময় মৃত্যু

খাসোগি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ : ট্রাম্প

তারেক রহমানকে নিয়ে ‘সংকট সংগ্রামে সাফল্য’ শীর্ষক তথ্যচিত্র মুক্তি পাচ্ছে বৃহস্পতিবার

তারেক রহমানের জন্মদিনে ছাত্রদলের দোয়া ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের নির্দেশ

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

‘আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ’

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আনতে গ্রামীণফোন ও বিএসসিএলের চুক্তি

গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

বিপিএল: বিশ্বকাপজয়ী মারকুটে ব্যাটারকে দলে ভেড়ানোর ইঙ্গিত ঢাকার

১০

সাংবাদিক সোহেলকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য আনা হয়েছিল : ডিএমপি

১১

শরীয়তপুরের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করব : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১২

যুবদল নেতা হত্যা : শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘পাতা সোহেল’সহ গ্রেপ্তার ২

১৩

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বড় পরিবর্তন

১৪

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

১৫

গুগলের জেমিনি লাইভে এসেছে নতুন ৫ সুবিধা

১৬

প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭

কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দিয়ে নিজ ট্রাকেই প্রাণ গেল চালকের

১৮

ইসির আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশির মনির

১৯

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

২০
X