৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে নমনীয় হচ্ছে সরকার। প্রার্থীর বেশিরভাগকেই পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে নিয়োগ করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এজন্য বাদ পড়াদের নামে গোয়েন্দা তথ্য পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সচিবালয়ে দুটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে এ সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ নেই, তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন আশা করি। তবে যাদের নামে মামলা আছে, তারা এ সুযোগ পাবেন না।
জনপ্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এক বিসিএসে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী বাদ দিয়ে বেশ চাপে পড়েছে সরকার। চূড়ান্ত সুপারিশের পরও গেজেটে বাদ পড়ার অপসংস্কৃতি চালু হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। তখন বিএনপি-জামায়াত ‘ট্যাগ’ দিয়ে মেধাবী চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হতো না। শেখ হাসিনার পরও একই সংস্কৃতি চালু থাকায় সরকারকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় বাদ পড়া প্রার্থীরা যেন চাকরিতে যোগদান দিতে পারেন, সেজন্য দুটি গোয়েন্দা সংস্থাকে ফের যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নিয়োগ পাবেন বাদ পড়াদের বেশিরভাগ।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১৬৮ প্রার্থী বাদ পড়েন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে ২৬৭ জন বাদ পড়েন। তাদের মধ্যে ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপস্থিত হননি। তারা ৪৩তম বিসিএসে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ জন্য তাদের আর পুনর্বিবেচনায় নেবে না মন্ত্রণালয়। শুধু ২২৭ জনের তথ্য-উপাত্ত পুনর্বিবেচনা হবে। গোয়েন্দা সংস্থা ও নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইতিবাচক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।