এক গম্বুজবিশিষ্ট ছোট্ট একটি মসজিদ, যা প্রাচীন ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী এ মসজিদকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
মসজিদটি নওগাঁর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চৌজা গ্রামে অবস্থিত। ঠিক কত বছর আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য জানা নেই কারও। তবে মসজিদটি স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মুঘল আমলে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চৌজা বাজারের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুরোনো এ মসজিদটি। প্রাচীন এ মসজিদটিতে কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। এটি এক কক্ষবিশিষ্ট। এর উপরিভাগে একটি মাত্র গম্বুজ এবং চার কোনায় রয়েছে চারটি মিনার। মসজিদটিতে সাড়ে তিন ফুটের তিনটি দরজা রয়েছে। ইমামসহ পাঁচ-ছয়জনের নামাজ আদায়ের জায়গা রয়েছে। ভেতরে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে মাত্র ছয় ফুট জায়গা।
চৌজা গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মো. এলাহী বলেন, এ মসজিদটি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এর আগে মসজিদটির চারদিক বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল। পরে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে এ মসজিদটিতে মুসল্লিরা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তবে পুরোনো এ মসজিদটি কবে কখন নির্মাণ করা হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মনসুর রহমান বলেন, মসজিদটি দেখতে খুব সুন্দর।
মসজিদের ভেতরে ও বাইরে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। তবে সরকারের কাছে আমাদের দাবি, মসজিদটি সংস্কার ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ বিষয়ে নওগাঁ পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, প্রাচীন ওই মসজিদটির জায়গায় স্থানীয়দের দ্বারা মসজিদ ঘরটি বড় করে নির্মাণ করার চেষ্টা করছিল। সেটা আমরা নিষেধ করেছি। মসজিদটির আদি রূপ যেন নষ্ট না করে সেজন্য একজন শ্রমিককে রাখা হয়েছে। তবে প্রাচীন পুরাকীর্তি এ মসজিদটি সংস্কার করার প্রয়োজন হলে অধিদপ্তরকে তা জানাব।
মন্তব্য করুন