

বিদেশি মেধাবী গবেষকদের আকৃষ্ট করতে কানাডা নতুন করে ১.৭ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের (প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) একটি বিশাল পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গবেষণা বাজেট কমানোর নীতির কারণে অনেক বিজ্ঞানী দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন—এ পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এএফপি জানায়, এর আগে কানাডার বড় হাসপাতাল নেটওয়ার্ক এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান কয়েক মিলিয়ন ডলারের নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল মার্কিন নীতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত গবেষকদের আকৃষ্ট করা। এবার ফেডারেল সরকার সেই উদ্যোগকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে গেল। একে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নিয়োগ কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সরকারের শিল্প ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই কর্মসূচির লক্ষ্য ১ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষককে আকৃষ্ট করা, যার মধ্যে ফরাসিভাষী ও বিদেশে কর্মরত কানাডিয়ান গবেষকরাও রয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী মেলানি জোলিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কিছু দেশ একাডেমিক স্বাধীনতা সংকুচিত করছে, কিন্তু কানাডা উল্টো পথে হাঁটছে এবং গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্পের নীতি বিশ্বব্যাপী গবেষক নিয়োগ প্রতিযোগিতায় বড় পরিবর্তন আনছে। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শক্তিশালী তহবিলের কারণে এগিয়ে ছিল, কিন্তু বাজেট কাটছাঁটের ফলে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণাগুলো বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের আকৃষ্ট করতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য ইউরোপকে গবেষকদের জন্য নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।
মন্ত্রী জোলি জানান, তাদের অগ্রাধিকার বিদেশে কর্মরত প্রতিভাবান কানাডিয়ান গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে ব্রেইন ড্রেইনের কথা বলা হয়েছে। এখন আমরা চাই আমাদের নিজেদের গবেষকরা আবার ঘরে ফিরুক।
মন্তব্য করুন