অনলাইননির্ভর ভোক্তাদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট। এবার অনলাইন কেনাকাটার বিক্রয় কমিশনের ওপর তিনগুণ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে কর আরোপ করা হয়েছে ডিজিটাল বিনোদনেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন পদক্ষেপে ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্যও বাড়বে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।
নতুন ঘোষিত বাজেটে অনলাইন পণ্য বিক্রির কমিশনের ওপর ৫ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো কালবেলাকে বলেন, নতুন ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাবনার ফলে ই-কমার্স ব্যবসায় খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে, যা উদ্যোক্তা ও ভোক্তা উভয়ের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম টফি পরিচালনাকারী মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক জানায়, ওটিটি পরিষেবার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (এসডি) আরোপের প্রস্তাব আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নিম্ন আয়ের মানুষ, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীসহ দেশের কোটি মানুষের জন্য ডিজিটাল বিনোদন ও তথ্যসেবা আরও ব্যয়বহুল হবে। এতে সাধারণ মানুষের কনটেন্ট দেখার স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে এবং ডিজিটাল বৈষম্য আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন