বীর সাহাবী
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১০:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৯ মাসে বাজার মূলধন কমেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা

পুঁজিবাজার
মূলধন
ছবি : সংগৃহীত

দেশের পুঁজিবাজারে দুবার ধস হয়েছিল। একবার ১৯৯৬ সালে এবং পরেরবার ২০১০ সালে। দুই দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দুটি ধসে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী। আর এসব ধস দেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বারবার তদন্ত হয়েছে, সুপারিশ এসেছে; কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বহুবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালের ধসের সময় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক যে অবস্থায় নেমেছিল, সেই অবস্থা থেকে কিছুটা দূরত্বে অবস্থান করছে। আর এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার। যদিও সরাসরি ধস না বললেও কার্যত বর্তমান পুঁজিবাজারের অবস্থাকে দশের ধস থেকেও শোচনীয় বলছেন পুঁজিবাজারের অংশীজন ও সংশ্লিষ্টরা।

১৯৯৬ সালে দেশের পুঁজিবাজার প্রথম বড় ধসের মুখোমুখি হয়। তখন ডিএসইর সূচক হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। প্রাথমিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার খনি মনে হলেও পরে জানা যায়, এ ছিল একটি পরিকল্পিত কারসাজির ফল। সেই সময় রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে কিছু বড় গ্রুপ, বিশেষ করে প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার হাউসগুলোর একটি চক্র, কৃত্রিমভাবে শেয়ারদর বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ মানুষকে মুনাফার স্বপ্ন দেখিয়ে পুঁজিবাজারে টেনে আনা হয়। এর ফলে বাজারে অতিরিক্ত তারল্য সৃষ্টি হয়, যা মূল শেয়ারের প্রকৃত মূল্য থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়। কারসাজি চলার সময় ডিএসইর সূচক সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৪৮ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট ওঠে। এরপর বাজার থেকে সব হাতিয়ে নেওয়ার পর ডিএসইর সূচক নেমে যায় ৭৫১ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। তৎকালীন সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে সে তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জনসমক্ষে আসেনি।

এরপর ২০১০ সালে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ২০০৯ সালে নতুন সরকার গঠনের পর পুঁজিবাজারে একটি ইতিবাচক ধারা শুরু হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীর আগমন, ব্যাংকগুলোর তারল্য বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার—সবকিছু মিলিয়ে বাজারে নতুন গতি আসে। কিন্তু এ গতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকে শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। বড় অংশীদার ও কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ কৌশলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভুল বুঝিয়ে বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেয়।

ডিসেম্বর ২০১০ এ সূচক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৯১৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট ওঠে। এরপর ২০১১ সালের জানুয়ারির শুরুতেই তা তীব্রভাবে পতনে যায়। তখন ডিএসইর সূচক নেমে যায় ৪ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। কয়েকদিনেই বাজারে অচলাবস্থা তৈরি হয়। তখন অসংখ্য বিনিয়োগকারী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, অনেক পরিবার আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন, যা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে। পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অনাস্থা তৈরি হয় এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাপি ঋণের সম্মুখীন হওয়ায় আর্থিক খাতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়।

উভয় ধসের পর সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়। বিএসইসি আইন সংশোধন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়, বাজারে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়া হয়। বাজার নজরদারি জোরদার করতে স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেম চালু করা হয় এবং বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

দশের ধসের পর থেকে ২৪ পর্যন্ত: গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও পুঁজিবাজারে কারসাজি ও দুর্নীতির পরিমাণ কমেনি। গত বছরের ১ ডিসেম্বরে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতারণা, কারসাজি, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও আইপিওতে জালিয়াতির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। আর সবকিছুই হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নাকের ডগায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও যেন বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার চেয়ে কারসাজিকারকদের ঠিকাদার হিসেবেই বেশি ভূমিকা পালন করে বিএসইসি। আওয়ামী সরকার ক্ষমতা হারানোর আগে বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তার সময়ে কারসাজিকারকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া, রুগণ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া থেকে শুরু করে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার মেয়াদের সময় ২০২৪ সালের ২৯ মে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ২২৮ পয়েন্ট। সে সময় বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। এরপর শেখ হাসিনার পতনের খবরে পুঁজিবাজারে গতি ফিরতে থাকে। গত বছরের ৫ আগস্ট যখন শেখ হাসিনার পতন হয়, এর পরের দিন পুঁজিবাজারের সূচক ওঠে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। সেদিন লেনদেন হয় প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। এরপর প্রতিদিন ক্রমাগত এ লেনদেন ও সূচকের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ১১ আগস্ট ২ হাজার ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয় আর সেদিন সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৫ পয়েন্টে। ১০ আগস্ট শিবলী রুবাইয়াত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন।

বর্তমানে বাজারের কী হাল: গত বছরের ১৮ আগস্ট নেতৃত্বশূন্য বিএসইসির দায়িত্ব নেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। নতুন দুজন ও পুরোনো একজন কমিশনারকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে তার নতুন কমিশন। দায়িত্বে এসেই আগের সময়ের কারসাজি ও দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে একে একে তদন্ত করতে থাকেন। আর সেসবের বিপরীতে জরিমানা করতে থাকেন শত শত কোটি টাকা। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার ৯ মাস সময় অতিবাহিত হতে চললেও সেই শত শত কোটি টাকা জরিমানার ১ টাকাও আদায় হয়নি। ফলে এসব জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

জরিমানার কোনো টাকা আদায় করতে না পারলেও বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা ঠিকই কুড়িয়েছেন রাশেদ মাকসুদ। তার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ডিএসইর সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্ট। তখন বাজারে কয়েকদিন ৫০০ থেকে হাজার কোটি টাকা লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই তার নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের পর বিনিয়োগকারীরা তার ওপর থেকে আস্থা হারাতে শুরু করেন। এরপর শুরু হয় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃখের সময়। প্রতিদিনই টানা পতনের মধ্যে কমতে থাকে বাজারের সূচক ও মূলধনের পরিমাণ।

রাশেদ মাকসুদ কমিশনের সময় গত ২৫ মে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয় ২৩৫ কোটি টাকা। আর ডিএসইর সূচক নেমেছে একদম তলানীতে, যা ২০১০ সালের ধসের সময়ে হয়েছিল। ২০১০ সালের ধসের সময় পুঁজিবাজারের সূচক সর্বনিম্ন নেমেছিল ৪ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। বর্তমানে ডিএসইর সূচক অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭০৯ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।

রাশেদ মাকসুদ কমিশনের ৯ মাস: রাশেদ মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করবে বলেছিল। কিন্তু ৯ মাস অতিবাহিত হতে চললেও দেখা যাচ্ছে বাজারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফলে দিন যত যাচ্ছে বাজার পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। গত ১৮ আগস্টে যেখানে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, সেখানে ৯ মাসের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৫৪ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকায়। একই সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্ট। তা ৯ মাসে ১ হাজার ১৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, মৌলিকভাবে দেখলে বর্তমান সময়টা ২০১০ থেকেও শোচনীয়। ২০১০ সালে বাজারে এত বাজে কোম্পানি ছিল না। ব্যাংকিং খাত তখন বেস্ট পারফরমার ছিল; কিন্তু ২৫ সালে এসে ব্যাংক তা করতে পারছে না। তখন এনবিএফআই কোম্পানিগুলো ভালো ছিল; কিন্তু বর্তমানে সেগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ২০১০ সালে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর অবস্থা ভালো ছিল; কিন্তু ২৫ সালে আমরা দেখতে পাচ্ছি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই মৌলিকভাবে দেখলে বর্তমান অবস্থা তখনকার থেকেও শোচনীয়।

ডিএসইর একজন পরিচালক কালবেলাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অন্যান্য যে কোনো সময়ের থেকে খারাপ। ৯৬ ও ১০ সালে আমরা ধস বলতে পারলেও এখন ধস বলতে পারছি না। কিন্তু আমরা সেই সময়ের থেকেও খারাপ পরিস্থিতিতে অবস্থান করছি। নামমাত্র যে লেনদেন হচ্ছে, এতে চোখের সামনে অনেক ব্রোকারেজ হাউস অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। অনেক শাখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ধসের থেকেও খারাপ কিছু হবে আমাদের জন্য।

ঈদের ছিল না আনন্দ: একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, আমাদের কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়েছে। কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আরও ছাঁটাইয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাজারের যে পরিস্থিতি এতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। আগে ঈদের সময় বাজারে কত আনন্দ দেখা যেত সবার মধ্যে। কিন্তু গত ঈদ এবং কোরবানি ঈদে সেই আনন্দ কোথায় যেন বিলীন হয়ে গেল। তাই আনন্দহীন একটি ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে।

শিমুল আহমেদ নামে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছি। গত ঈদটাও আনন্দে করতে পারিনি। এবারের কোরবানি ঈদটাও সে রকমই হয়েছে। যেই টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম, তা প্রায় নাই হয়ে গেছে। ফলে দিনশেষে হতাশা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিপি কি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে

হামলার কথা ইরানকে আগেই জানিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র!

এভাবে চললে কিয়ামত পর্যন্ত শতভাগ ঐকমত্য হবে না : নুর

সব বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত 

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে এক দিনে করোনায় আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২

বিশ্বে প্রতি বছর রোডক্র্যাশে ১১ লাখ ৯০ হাজার সড়ক ব্যবহারকারী নিহত হয়

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা গ্রেপ্তার

পর্দা উঠছে ‘১ম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসব’-এর

৬ প্রকৌশলীর তথ্য চেয়ে দুদকে বেবিচকের চিঠি

১০

‘ইরানকে পরমাণু অস্ত্র দিতে প্রস্তুত বিভিন্ন দেশ’

১১

আরও ২০ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

১২

ইরানে চলমান সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ

১৩

ইরানের সঙ্গে ‘দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার’ চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র : ভ্যান্স

১৪

সপ্তম শতাব্দীর চণ্ডীমুড়া মন্দিরের জায়গায় ঘর নির্মাণ

১৫

‘মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার’

১৬

জামিনে মুক্ত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক

১৭

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

১৮

করোনায় ৫ জনের মৃত্যু

১৯

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল চীন

২০
X