ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। গতকাল রোববার তেলঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আলিফ, অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪ জনকে। এখনো অন্তত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক হাসান মারুফ। উদ্ধার অভিযানে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরিরা। বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাতে ওয়াটার বাসটি সদরঘাটের লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। মাঝ নদীতে যেতেই বালুবোঝাই এমভি আরাবি নামে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ওই সময় ওয়াটার বাসের যাত্রীরা আতঙ্কে হুড়াহুড়ি শুরু করেন। মুহূর্তেই সেটি ডুবে যায়। ওয়াটার বাসটির এক যাত্রী কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকার আলম হোসেন জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে যাত্রীবোঝাই করে ওয়াটার বাসটি ছাড়া হয়। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে তিনি ওয়াটার বাসের ছাদে বসেছিলেন। বাল্কহেডের ধাক্কায় তিনিসহ ছাদে থাকা লোকজন নদীতে ছিটকে পড়েন। ওয়াটার বাসটি উল্টে যায়। শুরুতে আশপাশের মাঝিরা এসে ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। যাত্রী নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্ধ্যার পর বুড়িগঙ্গার সদরঘাট অংশে বালু বা পণ্যবাহী ব্লাকহেড চালানোতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও দুর্ঘটনা ঘটানো ব্লাকহেডটি সদরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গায় কীভাবে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানান, ওয়াটার বাসটির কত যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে জানার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন