বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) বলেছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ কামনা করেন। বলেন, যতই পুলিশি নির্যাতন হোক, রক্ত ঝরুক, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। প্রধানমন্ত্রী সময় না দেওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।
গতকাল বিকেল ৩টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী তাদের দাবির বিষয়ে শুনলেও নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয় বলে জানান।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। আগস্টের শেষদিকে এসব কমিটি গঠন করা হবে। এ সময় তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ঘোষণা করেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরেকটি বৈঠক করেন বিটিএর কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে আন্দোলন চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতারা বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানাই। তবে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ কাওছার আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে শিক্ষক প্রতিনিধিদের রাখার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী রাজি হননি। আন্দোলনের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গত ১১ জুলাই শুরু হওয়া আন্দোলন গতকাল গড়িয়েছে নবম দিনে। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন সারা দেশ থেকে আগত বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। গত রোববার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন