চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৪টি নাশকতার মামলা। এই বিএনপি নেতা চট্টগ্রামের সরকারি খাদ্যগুদাম হালিশহর সিএসডি গোডাউন দখলে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তার পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার বিরুদ্ধে।
গোডাউন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি খাদ্যগুদামের কাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিএ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ওরফে খোরশেদ মাঝি। তাদের কথার বাইরে গোডাউনের কোনো কার্যক্রম চলে না। সিএসডি গোডাউন নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের তৈরি একটি বলয় কাজ করছে। এর নেপথ্যে আরও কিছু সুবিধাভোগী রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি এলাকার লোকদের জিম্মি করে সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএসডি গোডাউন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপিপন্থি সিবিএ নেতা খোরশেদ মাঝি। তিনি হালিশহর থানায় সরকারবিরোধী নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলায় খোরশেদ আলম গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও খোরশেদ বরাবরের মতোই এলাকায় এবং গোডাউনে ক্ষমতার প্রভাব খাটাচ্ছেন।
জানতে চাইলে চসিক ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লায়ন ইলিয়াস কালবেলাকে বলেন, আমি শুনেছি সিএসডি গোডাউন নিয়ে একটা ঝামেলা চলছে। সেটা তো একটা সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে আমার ঢোকার অনুমতি নেই। এখন বাইরে থেকে কেউ কোনো সমস্যা করলে সরকার তো অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। আর খোরশেদ মাঝি নাশকতা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ১৪টি নাশকতার মামলা আছে। এসব মামলায় তিনি অনেকবার জেলও খেটেছেন। তিনি সব সময় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার চেষ্টা করেন। তার কাজই নাশকতা সৃষ্টি করা।
হালিশহর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের আগে-পরে নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা মো. খোরশেদ আলম আসামি থাকতে পারে। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা কতটি, তা আমার জানা নেই।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে খোরশেদ আলম কালবেলাকে বলেন, আমি বিএনপির সমর্থন করি। কিন্তু কখনোই কোনো পদে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক। অন্যদিকে সিএসডি ইউনিয়নের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোও ষড়যন্ত্রমূলক। নতুন করে গোডাউন দখল নেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।