টানা জয়রথে থাকা আফগান অধিপতি স্বদেশীয় শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা বিন্দু ভুলে থাকেননি। তাই মওকা পেয়ে শুক্রবার ডাচদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে স্মরণীয় জয়কে সোজা উৎসর্গ করে দিলেন আফগান শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে এটা জানাতেও ভুললেন না যে, সেমির স্বপ্ন তিনি মোটেও ভুলে যাননি।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পয়েন্টও এখন আট। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় আফগানরা পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ভারত এরই মধ্যে সেমিতে চলে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকারও সেমি-আসন প্রায় নিশ্চিত। সংগত কারণে আফগানদের সেমির স্বপ্ন একেবারে অন্যায্য কিছু নয়।
বারবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে এখনো ১ লাখ ৭০ হাজার আফগান শরণার্থী পাকিস্তানের মাটিতে অবস্থান করছে। পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এসব শরণার্থীকে শিগগির দেশে ফিরে যেতে হবে, নতুবা তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
২৮ বছর বয়সী এই অধিপতির মানবিক অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের ব্রিটিশ কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, ‘আমার খেলোয়াড়রা দেশীয় শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা মন থেকেই অনুভব করে। তারা জয়ের মাধ্যমে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছে। শরণার্থীরা নিরাপদে ফিরতে পারুক, এটা তাদের মনের আশা।’
এবারের বিশ্বকাপে এটা আফগানদের টানা চতুর্থ জয়। এর আগে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপে শুধু স্কটল্যান্ডকে হারাতে পেরেছিল। পরে বিশ্বকাপে তারা সবকটি ম্যাচেই হেরেছিল।
শুক্রবার আফগানদের এই জয়ে ভূমিকা রেখেছেন রহমত শাহ (৫২) এবং হাসমতউল্লাহর অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস। অন্যদিকে প্রবীণ আফগান অফস্পিনার মোহাম্মদ নবি ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। প্রথমে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস করে ১৭৯ রান। জবাবে ৩১.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮১ রান তুলে নিলেন আফগানেরা। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এলো আফগানিস্তান। ছয় নম্বরে নেমে গেলেন বাবর আজমরা।