মহিউদ্দীন মাহি
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০৩:১৭ এএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পরম্পরাই আমাদের মূল শক্তি

পরম্পরাই আমাদের মূল শক্তি

ইতিহাস দুই থেকে আড়াইশ বছরের। তাদের পূর্বপুরুষরাই পুঁতে ছিলেন দেওয়ান বংশের গানের গাছটি। যেই গাছ জীবিত রেখে বংশের হয়ে একে একে প্রতিনিধিত্ব করেছেন খালেক দেওয়ান, মালেক দেওয়ান থেকে শুরু করে তাদের সন্তানরা। এখন এই প্রতিনিধিত্ব কাঁধে নিয়ে বাব-দাদা, পূর্বপুরুষদের গান গাইছেন আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ানরা।

সম্প্রতি কোক স্টুডিও বাংলা সিজন-৩-এ খালেক দেওয়ানের লেখা গান ‘মা লো মা’ গেয়ে আলোড়ন তুলে দেয় দেওয়ান পরিবারে আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান। দর্শকের কাছে গানটি এতই গ্রহণযোগ্যতা পায় যে, সপ্তাহ না পেরোতেই কোটির কাছাকাছি শ্রোতা গানটি ইউটিউবে দেখে ফেলেছে। প্রীতম হাসানের মিউজিক ও আলী হাসানের র‌্যাপে গানটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে।

গানটি নিয়ে সাগর দেওয়ান কালবেলাকে বলেন, ‘এই গানটি আমাদের দেশের কালজয়ী একটি গান। কোকের মঞ্চে গানটি পরিবেশন করার পর এটির জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে। তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কোক স্টুডিও বাংলা, অর্ণব দাদা ও প্রীতম ভাইকে। তাদের যৌথ প্রযোজনায় শ্রোতাদের সুন্দর একটি গান আমরা উপহার দিতে পেরেছি।’

গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দুজনের ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে। বিষয়টি ভালোই উপভোগ করছেন শহরের এই তরুণ বাউল সাগর দেওয়ান। তিনি আরও বলেন, ‘একটি গানের মাধ্যমেই আমাদের অনেক কিছু বদলে গেছে। তার মধ্যে ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সাক্ষাৎকার দিচ্ছি। রেকর্ডিং হচ্ছে। ভালো লাগছে। তবে কোক স্টুডিওতে আমার প্রথম সিজনেই গান করার কথা ছিল। কারণবশত সেটি হয়ে ওঠেনি। মনে এমন কিছু হবে দেখেই আমার প্রথম সিজনে গান গাওয়া হয়নি। তবে সামনেও কোকের সঙ্গে গান করার ইচ্ছে আছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দেওয়ান বংশের গান করব।’

দেওয়ান পরিবারের সবাই সংগীতের সঙ্গেই রয়েছেন। কেউ ক্লাসিক করছেন তো কেউ বাউল। আবার বাদ্যযন্ত্র নিয়েও কাজ করছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একজন উজ্জ্বল দেওয়ান। যে ছায়ানটের একজন সংগীত শিক্ষক ও বাংলাদেশের বেতারের শিল্পী। তিনি বলেন, ‘সংগীতে পরম্পরাই আমাদের মূল শক্তি। আমাদের পূর্বপুরুষই দেওয়ান সংগীতের বীজ রোপণ করে রেখেছেন। তা ধরে রেখেই আমরা সাধনা করে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে থাকব করে যাব। এরপরের প্রজন্মও এই গান ধরে রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।’

নিজেদের সংগীত সংরক্ষণে দেওয়ান বংশের একটি ট্রাস্টি রয়েছে। যেটি খালেক দেওয়ানের নামে। এই সাধক এক হাজারের বেশি গান লিখেছেন। এ ছাড়া এ বংশের সবারই গান লেখা ও সুর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিজেদের লেখা গান গেয়েই আজ তারা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন বলে দাবি দেওয়ান বংশের বর্তমান প্রজন্মদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়া সংগ্রাম, সাহস ও গণতন্ত্রের প্রতীক : কবীর ভূইয়া

দেশের মাটিতেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান সাকিব

মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে : বুলবুল

সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার : মাসুদুজ্জামান

‎জকসু নির্বাচন / প্রার্থীদের ডোপটেস্ট আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

১০

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

১১

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

১২

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১৩

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

১৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

১৫

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

১৬

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১৭

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১৮

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১৯

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

২০
X