ছোট পর্দার বড় অভিনেতা মীর সাব্বির। নির্মাণেও দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা। নিয়মিত অভিনয় করছেন নাটকে। তবে এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে রয়েছে তার অভিযোগ। অপেক্ষায় আছেন ভালো সময়ের। সম্প্রতি কালবেলার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন তিনি।
শুরুতেই সাব্বির বলেন, ‘আমরা যখন নাটকে অভিনয় শুরু করেছি। তখন অনেক সুন্দর নামের নাটক নির্মাণ করা হতো। গুণী নির্মাতাদের হাত থেকে পরিচ্ছন্ন নাটক উপহার পেতেন দর্শক। যার কারণে আমরা খুবই ভাগ্যবান। কারণ নাটক মানে শুধুই নাটক নয়। এটি হচ্ছে গুরুমুখী বিদ্যা। কিন্তু এখন সেটি নেই। এখন অনেক প্ল্যাটফর্ম চলে আসায়, অনেক কিছুই বদলে গেছে। সবাই ভিউমুখী হয়ে গেছেন।’
এরপর নাটকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করতাম ইন্ডাস্ট্রি তখন পরিবারের মতো ছিল। এখন সেটি নেই। এখন যে যা বানাচ্ছেন, তার কাছে সেটাই সেরা মনে হচ্ছে। অনেকটা খাবারের মতো। যেমন, যে যেই খাবার রান্না করেন, তার কাছে সেটাই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয় তো সেটি নয়। এখন অনেক নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী দেখি। যাদের দিয়ে অভিনয় সেভাবে হচ্ছে না। কিন্তু ভিউ হচ্ছে। এটা দেখে হতাশ হই। তার পরও আশা রাখি, এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে অনেক নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী চেষ্টা করছেন ও ভালো করছেন। এই চেষ্টা যতদিন থাকবে ততদিন আমাদের আশা থাকবে। আমি বিশ্বাস করি খারাপের মধ্যেই ভালোর বার্তা থাকে। কারণ এটাই হচ্ছে যুগের হাওয়া। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো-খারাপ সবকিছুই থাকবে। যুগের হাওয়া সবসময়ই ছিল।’
এরপর শিল্পীদের দায়িত্ব নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান পরীক্ষিত শিল্পী কখনো হতাশ হন না। সে তার নিজের সেরাটি দিয়েই কাজ করে যাবেন। এটাই তার দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ববোধের স্থান থেকেই ইন্ডাস্ট্রি সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
বর্তমানে মীর সাব্বির ঈদের বেশ কিছু নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাতে রয়েছে ধারাবাহিকও। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনেও নিয়মিত দেখা যায় তাকে।
উল্লেখ্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১-এ ‘রাতজাগা ফুল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পান মীর সাব্বির। সিনেমাটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এ সিনেমার মাধ্যমে মীর সাব্বিরের পরিচালক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমার কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লেখেন মীর সাব্বির নিজেই।
সিনেমায় মীর সাব্বির ছাড়াও অভিনয় করেন দিলারা জামান, আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, ডা. এজাজুল ইসলাম, নাজনীন চুমকী, জয়রাজ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, অপু, আবু হুরায়রা তানভীর প্রমুখ।