কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এস আলমের ছয় ব্যাংকে ঋণ ও এলসি খোলা বন্ধ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপসহ আমদানি এলসি খুলতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ওই ৬টি ব্যাংক এসএমই ও কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

সোমবার (১৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী প‌রিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের‌ এক চি‌ঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। তবে কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই, আমানতের বিপরীতে ঋণ ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। এ ছাড়া এই ব্যাংকগুলো এখন থেকে নতুন করে কোনো আমদানি এলসিও খুলতে পারবে না।

এর আগে গত সপ্তাহে এস আলমের মালিকানাধীন এই ছয় ব্যাংকসহ মোট ৯টি ব্যাংকের ইস্যু করা এক কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার চেক নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে নগদায়ন বন্ধের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের প্রভাব কমাতে এবং তাদের ঋণ গ্রহণ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিধিনিষেধ আরোপ করে। গ্রুপটির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতিতে রয়েছে। নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে এই ব্যাংকগুলোর এমন সংকট তৈরি হয়েছে। তারপরও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদের বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এসব ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে নিয়মিত টাকা সরবরাহ করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন গভর্নরের অনুমোদনে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের প্রভাব থাকা ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একদিনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে।

এর মধ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একদিনে ৮৮৯ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হলে ব্যাংকটি তা ঠেকিয়ে দেয়।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮টি ব্যাংকসহ ৯টি ব্যাংকই এখন চরম আর্থিক সংকটে। এসব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের চলতি হিসাবেও বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে ‘সমুদ্র পরিবেশ রক্ষা ব্যালাস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রযুক্তিগত সেমিনার

‘দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না’

নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মেঘনার তীরে দেখা মিলল রাসেল ভাইপারের, অতঃপর...

স্বামীর ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী নিহত

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সাভারে ব্যাপক গণসংযোগ

খেলাধুলা চর্চার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠবে মাদকমুক্ত জাতি : আমিনুল হক

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না : সাইফুল হক

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহত

বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১০

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

১১

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১২

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

১৩

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৪

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

১৫

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

১৬

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

১৮

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

১৯

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

২০
X