রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় দিনে-দুপুরে বাসায় ঢুকে পরিবারের চার সদস্যের হাত-পা বেঁধে ডাকাতির এক দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মীর ইসতিয়াক হোসেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, লিংক রোডে বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলা নম্বর-৪৯। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার নেই। আমরা কাজ করছি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাট এলাকার একটি বাসায় ভুক্তভোগী মীর ইসতিয়াক হোসেন পরিবার নিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে অজ্ঞাত সাত ব্যক্তি তার বাসায় প্রবেশ করে বাবা মীর ইসহাক আলী, মা মর্জিনা বেগম, ছোট লিজা ও তার শিশু ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এ সময় ইসহাকের মাকে একজন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি সরে যাওয়ায় ডাকাত দলের একজনের হাতে লেগে কেটে যায়। ডাকাতেরা এই সময়ে আলমারির চাবি দিতে বলে; চাবি না দিলে শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের হাতে দেশি চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল ছিল। পরে রুমের কাঠের আলমারি খুলে ড্রয়ারে থাকা নগদ ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ও ত্রিশ লাখ টাকা মূল্যের ৩৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ডায়মন্ডের আংটি, নাক ফুল এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ডাকাতরা যখন বাসা লুট করছিল তখন দোকানের দুই কর্মচারী মো. সুজন (১৭) ও সোহাগ (১৩) বাসায় খুচরা টাকা আনার জন্য গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে তাদেরও রুমের ভেতরে নিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। ডাকাতরা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। অজ্ঞাত ডাকাতদের একজনের বয়স আনুমানিক ৩০ বাকিদের ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে। সবার পরনে প্যান্ট ও টি-শার্ট ছিল।
মন্তব্য করুন