ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং বাড়াতে হলে মানুষের মধ্যে শিক্ষাগত জ্ঞান বাড়াতে হবে। গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য এনজিও ও মোবাইল সার্ভিস অপারেটরদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে স্মার্টফোনের দাম কমাতে হবে। এ জন্য দেশীয়ভাবে উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। নইলে ডিজিটাল ফাইন্যান্স এ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে না। ইন্টারনেটের এক্সেস বাড়াতে হবে।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) আয়োজনে ‘ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাট দ্যা লোকাল লেভেল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ড. মো. আখতারুজ্জামান খান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফি বিনতে আকরাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেবায় খরচ কমানোর সুযোগ কম। কারণ এখানে চারটি স্তর রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অপারেটর, মোবাইল অপারেটর এবং দুইজন এজেন্ট সবারই এখান থেকে খরচ বহন করতে হয়। এ কারণে এ পদ্ধতিতে খরচ এর চেয়ে কমানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। বিকাশও এখন লোকসানে। নগদ আগে থেকেই লোকসানে আছে। এ কারণে খরচ কমাতে হলে ক্যাশ ইন থাকবে কিন্তু ক্যাশ আউটের ব্যবস্থা কমিয়ে ফেলতে হবে। যেন মানুষ ক্যাশ ইন করলে সেখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে খরচ করতে পারে। ক্যাশ আউটের প্রয়োজন না হয়।
মন্তব্য করুন