বোনাসের দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে দিনভর বিক্ষোভ করছে ইস্টার্ন রিফাইনারির শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক কর্মচারী বিক্ষোভ করেন।
সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিক্ষোভ বন্ধের শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনো বিক্ষোভ বন্ধের ঘোষণা আসেনি। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশেনের (বিপিসি) একমাত্র জ্বালানি পরিশোধনাগার প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানে বিপিসির সরবরাহকৃত ক্রুড কিংবা পরিশোধনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে একটি লভ্যাংশ উৎপাদন বোনাস হিসেবে দেওয়া হয়। বিপিসি ও তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, এসএওসিএল বা এলপিজিতে জ্বালানি বিক্রির লভ্যাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া হলেও ইস্টার্ন রিফাইনারিতে উৎপাদন (প্রোডাকশন) বোনাস দেওয়া হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ইআরএলের এই উৎপাদন বোনাসের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৩১ আগস্টের মধ্যে বোনাস দেওয়ার কথা জানালেও বৃহস্পতিবারও বোনাস দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিয়ে গত ১৪ জুন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বোনাসের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু বোনাস পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এখনো অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। এ কারণে সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে অফিসে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। তবে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বোনাসের অর্থ পরিশোধ করবে এমন আশ্বাস দিলেও আশ্বস্ত হতে পারেনি কেউ।
ইআরএল এমপ্লোয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম জানান, উৎপাদন বোনাস ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ না করায় শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের মিটিং চলছে। বিস্তারিত পরে জানাবো। যদিও পরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎপাদন বোনাস দেওয়া হয়। এই বোনাসের অর্থ বরাদ্দ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বিপিসি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়ছে। সেখান থেকে অর্থ বরাদ্দের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। যার কারণে বোনাস দিতে দেরি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন