সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে বড় প্রতিভা যাচাইয়ের আয়োজন মার্কস অলরাউন্ডার। দেশের সব স্কুল-কলেজ, প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে এ প্রতিযোগিতায়।
তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বিশাল আয়োজন— আঞ্চলিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়। এ সপ্তাহে ১০ ও ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা।
সিলেটের পাঠানটুলী দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, দি এইডেড হাইস্কুল, লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ এবং পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয় এ পর্ব।
এরপর আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ১০০টি আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়গুলো হলো— প্লে-চতুর্থ : জুনিয়র স্কুল। বিষয় : গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা।
পঞ্চম-অষ্টম : মিডল স্কুল। বিষয় : গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।
নবম-দ্বাদশ : হাইস্কুল এবং কলেজ। বিষয় : গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।
মার্কস অলরাউন্ডারের তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডার প্রত্যেকে পাবেন ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি, আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও বৃত্তির পরিমাণ ১ কোটি টাকারও বেশি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্স-আপ ও সেকেন্ড রানার্স-আপ যথাক্রমে পাবেন ৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। এ ছাড়া প্রতিটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের সেরা তিনজন করে ৫৪ জন সেরা পারফর্মার স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত হবেন।
জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রত্যেকে পাবে একটি করে কম্পিউটার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মন্তব্য করুন