চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নিয়েছেন। তবে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহইয়া আখতার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের প্রভোস্টরা নিজ নিজ হল সংসদের নির্বাচিতদের শপথ পড়ান। দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রতিনিধিরা আগামী এক বছরের জন্য চাকসু ও হল সংসদের দায়িত্ব পালন করবেন।
শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত চাকসুর নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তার করা এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় তিনি অনুষ্ঠানে যাননি বলে জানা গেছে।
চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি একটি অঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে চাকসু ছিল না। এখন তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের যেসব চাওয়া আছে, সেগুলো সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন।
চাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) মো. ইব্রাহীম বলেন, নানা বিতর্ক ও সমস্যা অতিক্রম করে একটা সুন্দর ক্যাম্পাস গঠনের যে প্রয়াস, সেটার আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, চাকসু নির্বাচন কমিশনার প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, সাবেক চাকসু ভিপি-জিএসসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া চাকসুর দ্বিতীয় ক্যাবিনেট ১৯৭০-৭১ ও ১৯৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষের ভিপি আ. ম. শামসুজ্জামান (হিরা), জিএস আ. ফ. ম. মাহমুদুর রহমান, তৃতীয় ক্যাবিনেট ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষের ভিপি এস এম ফজলুল হক, চতুর্থ ক্যাবিনেট ১৯৭১-৮০ শিক্ষাবর্ষের ভিপি মাজহারুল হক শাহ, পঞ্চম ক্যাবিনেট ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষের ভিপি মো. জসিম উদ্দিন।
গত ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. ইব্রাহীম, জিএস সাঈদ বিন হাবিব এবং এজিএস ছাত্রদল সমর্থিত আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। মোট ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা জয়ী হন।
মন্তব্য করুন