চট্টগ্রাম ব্যুরো ও চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না’

সেমিনারে বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। ছবি : কালবেলা
সেমিনারে বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। ছবি : কালবেলা

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, নজরুলের সাহিত্যকে প্রচলিত মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না। তিনি সমসাময়িক কবিদের থেকে আলাদা ছিলেন। কারণ, তিনি ছিলেন ‘অপর জনগোষ্ঠী’র প্রতিনিধি। ইংরেজ শাসনামলে যখন অনেকেই মুখ খুলতে পারেননি, নজরুল তখন ছিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সেমিনারে ‘ঔপনিবেশিক আধুনিকতার ‘অপর’ ও নজরুল সাহিত্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সেমিনারটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্র।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন, নজরুল খুব ভালো কবি নন, শুধু ব্রিটিশ বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন কবিতাকে আমরা কবিতা বলব, তার মাপকাঠি কী? নজরুলের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসনকালে যখন বাকিরা চুপ থেকেছেন, নজরুল তখন প্রতিবাদ করেছেন। ভারতের ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে তার ছিল বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, একসময় এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে ফার্মের মুরগি বলা হতো, কিন্তু তারা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা নজরুলের সৈনিক। তাই তারা রাস্তায় রাস্তায় গেয়েছে— ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’। নজরুল ছিলেন বিপ্লবের প্রতীক; ভারতবর্ষের একটি মাটিও তিনি পরাধীন রাখতে চাননি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক মেহরান নাজ্জাফি হাজিবার বলেন, নজরুলের কাব্যরস আমাদের মনে করিয়ে দেয় হাফেজ, রুমি ও সাদির উত্তরাধিকারকে। তার কবিতা মানবতা, সহমর্মিতা ও জাগরণের প্রতীক।

সেমিনারে রেজাউদ্দিন স্টালিন ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম যৌথভাবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মুস্তারী এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নুরুল আমিনের হাতে নজরুল পুরস্কার তুলে দেন।

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ১৬ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নজরুল সপ্তাহে আয়োজিত কুইজ, কবিতা ও সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের জন্যও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। নজরুল কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনজন, কুইজে তিনজন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় চারজন পুরস্কৃত হন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইকবাল শাহীন খান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়া সংগ্রাম, সাহস ও গণতন্ত্রের প্রতীক : কবীর ভূইয়া

দেশের মাটিতেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান সাকিব

মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায়

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে : বুলবুল

সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার : মাসুদুজ্জামান

‎জকসু নির্বাচন / প্রার্থীদের ডোপটেস্ট আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

১০

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

১১

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

১২

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

১৩

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

১৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

১৫

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

১৬

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১৭

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১৮

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১৯

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

২০
X