সকাল থেকে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যে সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটায় এর রেশ নির্বাচনের দিনও থাকতে পারে এমন শঙ্কায় উদ্বিগ্ন ভোটাররা। কাটছে না উৎকণ্ঠাও। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জনিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক। কালবেলাকে তিনি বলেন, কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোববার সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে যাবে ব্যালট পেপার। ভোটারদের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম নগরে দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার পুলিশ সদস্য। অন্যদিকে আশঙ্কার কিছু নেই, জেলাতেও মোতায়েন করা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য।
নগরের সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি জানান, ৬৬০টি কেন্দ্রে আমাদের পুলিশ সদস্য আছে। এক বা একাধিক পোলিং সেন্টার মিলে মোবাইল বাহিনী করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং টিম আছে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, জনগণের তথা ভোটারদের সন্তষ্টি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ভোটকেন্দ্রে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ আসনের সরঞ্জামও স্ব-স্ব আসনের নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, জেলার সমস্ত জায়গায় নির্বাচনী বিষয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেক থানায় পুলিশের নির্দেশনা দেওয়া আছে। যেন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ থাকবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন। ভোট গ্রহণের দিন ৭৯ জন নির্বাহী হাকিম ও ৩২ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্তব্য করুন