

বহু অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তৃত পর্যালোচনার পর ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন জার্নাল হাব (আইওজেএইচ)-কে প্রদান করা পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ )।
ডিএমএফের নির্বাহী কমিটির পর্যালোচনায় দেখা যায় যে আইওজেএইচের নীতিনির্ধারণী কাঠামো, নেতৃত্ব এবং পরিচালনব্যবস্থা গবেষণা, একাডেমিক কাজ ও পেশাগত আচরণের ন্যূনতম মানও পূরণ করে না।
পর্যালোচনায় উত্থাপিত প্রধান অভিযোগসমূহ:
১. নীতিনির্ধারণী ও উপদেষ্টা স্তরে গবেষণাগত যোগ্যতার অভাব : আইওজেএইচের নীতিনির্ধারণী পর্যায় বা এডভাইজারি বোর্ডে গবেষণা বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কিত কোনো স্বীকৃত ডিগ্রিধারী সদস্য নেই।
২. ফাউন্ডার ও সিইও-র ভুয়া একাডেমিক পরিচয় : আইওজেএইচের ফাউন্ডার ও সিইও মো. কারিউল ইসলাম নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় ‘পিএইডি ফেলো’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়—এই দাবি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং কোনো স্বীকৃত তথ্য দিয়ে প্রমাণিত নয়।
৩. অনৈতিকভাবে ডেটা ব্যবহার ও গবেষণা প্রকাশ : বৈধ ক্লিনিক্যাল ডেটা ছাড়া গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ এবং ক্লিনিক্যাল ডেটার অনৈতিক ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৪. স্টাফদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি : আইওজেএইচের কোনো স্টাফ সদস্যেরই গবেষণামূলক কাজ পরিচালনার মতো উপযুক্ত একাডেমিক যোগ্যতা নেই।
৫. অপেশাদার কর্মপরিবেশ : বেতন সংক্রান্ত অনিয়ম, চাকরি চলে যাওয়ার হুমকি, এবং স্টাফদের প্রতি অযৌক্তিক আচরণের অভিযোগগুলোও তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমএফ সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও পেশাগত জবাবদিহিতা রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গবেষণা, সাংবাদিকতা ও একাডেমিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার পক্ষে অটল।’
পুরস্কার প্রত্যাহারের পর যে পদক্ষেপসমূহ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো
ডিএমএফের সব অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকে পুরস্কারসংক্রান্ত সব পোস্ট ও ঘোষণা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আইওজেএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট সব পোস্ট, সার্টিফিকেট ও ঘোষণা অবিলম্বে অপসারণ করতে। সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও পেশাগত মানদণ্ড রক্ষায় ডিএমএফ তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।
মন্তব্য করুন