পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০২১’ পেয়েছে এবিএম ওয়াটার কোম্পানি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকায় শিল্পমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের কাছ থেকে পুরস্কারের সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এ বি এম গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে এম আতাউল করিম।
শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম।
রাষ্ট্রপতি শিল্প পুরস্কারের জন্য এবিএম ওয়াটার কোম্পানি ছাড়াও গাজীপুরের ইকো-টেক্র লিমিটেড, নরসিংদীর প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, ঢাকা পল্লবীর মীর আকতার হোসেন লিমিটেড, পাবনার স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, ঢাকার স্নো আউটাওয়্যার লিমিটেড, পাবনার স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডসহ দেশের প্রথমসারির ২০টি কোম্পানিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এবিএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এবিএম ওয়াটার কোম্পানি ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশের পানি বিশুদ্ধকরণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। পানি বিশুদ্ধকরণে এটিই প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। পানি বিশুদ্ধকরণের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি রিভার্স ওসমোসিস টেকনোলজি ব্যবহার করে পুকুর, লেক, নদী ও সাগরের পানি পরিশোধন করে আসছে এবিএম ওয়াটার।
ভূগর্ভস্থ পানির সংকট কমানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিশোধনপূর্বক ব্যবহার, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার এনার্জি ব্যবহার করে পানি উত্তোলন ও পরিশোধন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এবিএম ওয়াটার সারা দেশে ছোট বড় প্রায় ২৫০টিরও বেশি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার লিটার পরিশোধিত খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এর আগে এ কে এম আতাউল করিম শিল্প স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৩ সালেও বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এবিএম আতাউল করিম বলেন, চট্টগ্রাম পোর্টে দেশের সর্ববৃহৎ রিভার্স সিমোসিস বা লবণাক্ত পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট করে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে এবিএম ওয়াটার। মংলা-পায়রা পোর্টে পানি পরিশোধন প্ল্যান্টও আমাদের হাতেই হয়েছে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে বৃহৎ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ বহু কাজ সম্পন্ন করেছে আমাদের কোম্পানি।
মন্তব্য করুন