

দুই গ্রামের মাঝখানে সংযোগ সড়ক কিন্তু বর্ষাকাল এলেই এটি পানিতে ডুবে যায়। তখন এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সাঁকোতেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোটিই এখন দুই গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা।
জানা যায়, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোজাফরপুর এবং নয়াপাড়া দুটি গ্রাম। যুগের স্রোতে বিভিন্ন জনপদের চেহারা পাল্টালেও এখানে বাঁশের সাঁকোটির স্থানে নির্মিত হয়নি কোনো উঁচু সড়ক। এই নিচু সংযোগ সড়কটির জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে গ্রাম ও সেখানকার সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থা। এতে বর্ষার সময়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে।
তবে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে তাড়াইল বাজার, মোজাফরপুর বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দুয়া সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, মোজাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা আ. জব্বার ও রেনু মিয়া বলেন, এখানে সংযোগ সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হাটবাজারের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তবে এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মোজাফফরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, এই সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছেন। এ বছর আমার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি। এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামবাসীর দীর্ঘ বছরের দুঃখ লাঘব হবে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আল আমিন সরকার বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এই সংযোগ সড়কটির আইডি আছে কিনা দেখে মোজাফফরপুর এবং নয়াপাড়া গ্রামের মাঝে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন