ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সমন্বয়ক পরিচয়ে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপসহ মানুষকে হয়রানি করছে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেউ না। আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে কিছু লোক এসব করছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আখাউড়া পৌরশহরের কারিমা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সাদমান ফারুকী জয়, মারিয়া আক্তার, রিমন ভুইঁয়া ও আইমান বেগসহ অর্ধশত শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. জাহিদ হাসান ভুইয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, উপজেলার শিক্ষার্থীরা ১৭ জুলাই সড়ক অবরোধের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করে পুলিশের নির্যাতনের মুখে পড়ে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জড়ো করে আবারও ৪ আগস্ট আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লে পৌরসভার মেয়রসহ আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
পরে ৫ আগস্ট আন্দোলনের সফলতা আসে। পরে কেন্দ্র থেকে সমন্বয়ক বিলুপ্ত করলে তারা সমন্বয়ক পরিচয় থেকে বিরত থাকেন। এ অবস্থায় কিছু লোক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আখাউড়া উপজেলার কিছু প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হুমকিধামকি দিচ্ছে। হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
তারা হলেন- সাদমান সামাউল, আমানুল্লাহ সিয়াম, শাহদাৎ, শাহারিয়ার হাসান, আতিক তুষার ও আমজাদ হোসেন। এদের সঙ্গে আখাউড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন