কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের হাজী সুরুজ মিয়া সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত। সড়কটিতে পূর্বে সামান্য ইট, বালু দেখা গেলেও সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় একেবারে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাজী সুরুজ মিয়া সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এই সড়কে পদুয়া সুফিয়া রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদুয়া নুরানী মাদ্রাসা ও পদুয়া কিন্ডারগার্টেন অবস্থিত। এতে পদুয়া, দামারপাড়া, আশফালিয়া ও দক্ষিণ ডেকরা গ্রামের মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত করে।
গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সদ্য প্রবাস ফেরত মো. ইয়াছিন ও পদুয়া গ্রামের যুবসমাজের উদ্যোগে প্রায় ৬০০ মিটার সড়কটিতে ইটের রাবিশ ফেলে সংস্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৪ সালে তৎকালীন জামায়াতের এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের পদুয়া বাজার থেকে হাজী সুরুজ মিয়া সড়কের ৩ কিলোমিটার এই রাস্তাটি পাকা করান। এরপর থেকে দীর্ঘ ২০ বছর রাস্তাটি সংস্কার না করায় সড়কটি কার্পেটিং উঠে গিয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পরে ৪ গ্রামের জনসাধারণ। জনগণের দুর্ভোগের কারণে যুব সমাজের সঙ্গে পরামর্শ করে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন প্রবাসী মো. ইয়াছিন।
সোমবার ও মঙ্গলবার রাস্তাটিতে ইটের রাবিশ ফেলে সংস্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করে তুলে।
দামারপাড়ার গ্রামের বাহার মিয়া বলেন, অনেক বছর এ রাস্তা দিয়ে রিকশা নিয়ে চলাচল করতে পারি নাই। গত কয়েক দিনের বন্যায় সড়কটি ভিশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবাসীদের উদ্যোগে এ সড়কে রাবিশ দিয়ে চলাচলের উপযোগী করায় এখন আমরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছি।
পদুয়া গ্রামের ইস্রাফিল বলেন, পদুয়ার হাজী সুরুজ মিয়া সড়কটিতে গত ২০ কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। চলাচল অনুপযোগী ছিল। গ্রামবাসী ও প্রবাসী ইয়াছিনের উদ্যোগে যুব সমাজের সহযোগিতায় সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে।
একই গ্রামের ডাক্তার পেয়ার আহমেদ বলেন, এ সড়কটি অনেক দিন অবহেলিত ছিল। এখন আমরা গ্রামবাসী ও প্রবাসীদের উদ্যোগে রাবিশ দিয়ে চলাচলের উপযোগী করায় ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে।
আমিনুল হক বলেন, এ রাস্তা দিয়ে ৫-৬ গ্রামের লোকজন খুব কষ্টে চলাচল করত। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ২০ বছরে আমাদের এ গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন এ গ্রামটি অবহেলিত ছিল। প্রবাসী এয়াছিন ভাই ও গ্রামবাসী উদ্যোগে সংস্থার করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।
স্থানীয় পদুয়া সুফিয়া রহমান উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর ছাত্র সজীব বলেন, সড়কটিতে চলাচলে খুব অসুবিধা হতো, বন্যায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের গ্রামের প্রবাসী ইয়াসিন ভাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সারাটি সংস্কার করায় আমাদের চলাচলের সুবিধা হয়।
মন্তব্য করুন