পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে একমাত্র শিশুপুত্রকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর রোজিনা নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) চালক মো. রুবেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৬) ও তাদের আট বছর বয়সী ছেলে মো. হৃদয়।
আরও পড়ুন : ‘উদয় আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব’
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের সঙ্গে স্ত্রী রোজিনা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল। আজ বিকেলে রোজিনা বেগম ঘরে রাখা কীটনাশক প্রথমে ছেলে হৃদয়কে পান করান। এরপর তিনি নিজে কীটনাশক পান করেন। কীটনাশক পান করার পর মা ও ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে পাশের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক । এরপর রাত ৮টার দিকে রোজিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর হৃদয় মারা যায়। রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেছিলেন। তাদের মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায়।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি, মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন