জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জেলায় পাঁচ সাব-রেজিস্ট্রারের তিন পদই শূন্য

গ্রাফিক্স : কালবেলা।
গ্রাফিক্স : কালবেলা।

জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলার তিনটিতেই নেই সাব-রেজিস্ট্রার। দুজন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে করানো হচ্ছে পাঁচ উপজেলার জমি বেচাকেনা ও দলিল নিবন্ধন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রেশনের কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।

জানা গেছে, জেলা সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে দুজন কর্মরত রয়েছেন। ক্ষেতলাল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এখানে দুদিন কাজ করেন এবং কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলায় সপ্তাহে তিন দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। আর সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পাঁচবিবি উপজেলায় সপ্তাহে দুদিন দলিল নিবন্ধনের কাজ করেন।

দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওই তিন উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে। ফলে যথাসময়ে জমি বেচাকেনার কাজ করতে গিয়ে দলিল নিবন্ধ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

একটি ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার (আইনজীবী) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেলার তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। জেলার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার স্বার্থে তাদের জমি ব্যাংকে মর্টগেজ (বন্ধক) রেখে ঋণ নেন। এতে অনেক সময় নিবন্ধন করতে দেরি হওয়ায় দ্রুত ঋণ পেতেও সময় লাগে। সদর উপজেলা জুয়েল রানা ও ক্ষেতলালে কর্মরত রয়েছেন সামিউল হাসান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার জুয়েল রানা জানান, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর থেকে তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার নেই। তিনি সদর ও পাঁচবিবি উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষেতলাল উপজেলার সামিউল হাসান তিনটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায় তিনটি পদ শূন্য থাকায় তাদেরও কষ্ট হচ্ছে। জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের জন্য মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) বরাবর একাধিকবার আবেদন দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাধিক দলিল লেখক জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সমর্থিত দলিল লেখকের একটি গ্রুপ জমির ক্রেতাদের জিম্মি করে সমিতির নামে দলিল প্রতি অতিরিক্ত কিছু টাকা আদায় করত। বর্তমানে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। আবার যে নতুন কোনো সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, দ্রুত সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিলে ভালো হয়। আর যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে।

আক্কেলপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আবু হাসান মোবাইল ফোনে জানান, আক্কেলপুরে সপ্তাহে এক দিন সাব-রেজিস্ট্রার বসেন। চার দিন তাদের কোনো কাজ থাকে না। আর এক দিন কাজের চাপ বেশি পড়ায় অনেক সময় সন্ধ্যা ও রাত হয়ে যায়।

রাজশাহী বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি ও জয়পুরহাটের দলিল লেখক নূরুল ইসলাম বলেন, আগের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। এখন আগের চেয়ে পরিবেশ ভালো।

জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল বারী মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, তিনটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রতি মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কালাই উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে একজনকে সেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়। তবে তিনি যোগদান করেননি। আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হতে পারে শূন্য পদগুলোয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর

ফিল্মফেয়ারে রেকর্ড গড়ল ‘লাপাতা লেডিস’

কলকাতায় অমিতাভের জন্মদিনে চল্লিশা পাঠ

বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

বিএনপির ৩১ দফা দেশের মানুষকে বাঁচানোর রূপরেখা : রাশেদুল আহসান

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান

দল কমলেও বিপিএলে বাড়ছে ভেন্যু

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখে যা বললেন রোজিনা

হঠাৎ কেন আফগান সীমান্তে হামলা চালাল পাকিস্তান

যুবদল নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

১০

ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে

১১

কারিনার রাগ সামলানোর উপায় জানালেন সাইফ

১২

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহছানুল হক

১৩

হলুদ রঙে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে বন লবঙ্গ

১৪

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস আয়োজনে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

১৫

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

১৬

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

১৭

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৮

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

১৯

অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ / বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

২০
X