আবদুল মান্নান তামিম, তজুমদ্দিন (ভোলা)
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভোলায় ১২৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

ভোলার তজুমদ্দিন ফারজানা চৌধুরী শাওন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ছবি : কালবেলা
ভোলার তজুমদ্দিন ফারজানা চৌধুরী শাওন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭৩ ও স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ১৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানেই নেই কোনো শহীদ মিনার। এতে করে পল্লী অঞ্চলের কোমলমতি শিশু ও তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দেখা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাঁশ আর কলাগাছ দিয়ে একটি শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করে।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪৪টি। এর মধ্যে কলেজ ২টি, ডিগ্রি কলেজ ১টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫টি, দাখিল মাদরাসা ৭টি, আলিম ৫টি, ফাজিল ২টি, কামিল ১টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০টি। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও বছরজুড়ে অযত্ন-অবহেলায় এবং অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস শুধু পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পালন করা হয়।

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহীদ মিনার না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন ও শহীদ দিবস সম্পর্কে জানেই না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জুয়েল বলেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শহীদ মিনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই তা নির্মাণে শিক্ষা প্রশাসন, অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তাই উপজেলায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো তা নির্মাণ করা হয়নি, এ বছর সে সব প্রতিষ্ঠানে পিইডিপি-৫ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অঃদাঃ) মো. রেজাউল করিম বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের সরকারি কোনো তহবিল নেই। তবে ভাষাশহীদদের প্রতি যথার্থ মর্যাদা দিতে হলে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ জরুরি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্ত্রী হারালেন তোফায়েল আহমেদ

রাতে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গ্রেনেড, বাড়িতে নিয়ে যান কৃষক

ইতালি যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু

জিম্বাবুয়ের কাছে লঙ্কানদের লজ্জার পরাজয়

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

গভীর রাতে সাংবাদিক-ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত

ব্রাকসু নির্বাচনে তপশিল পরিবর্তন, জানা গেল ভোটের নতুন তারিখ

নিউইয়র্ক এলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি মামদানির

১০

শীত কবে থেকে বাড়তে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১১

কুয়াকাটায় বিসিসির উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি

১২

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের

১৩

বাকৃবির উদ্ভাবন, সামুদ্রিক শৈবালে মিলল রঞ্জক-অ্যাগার-সেলুলোজ

১৪

শততম টেস্টে স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মুশফিকের

১৫

স্থগিত ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন তারিখ সম্পর্কে যা জানা গেল

১৬

অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িবহরে হামলা

১৭

কমলো স্বর্ণের দাম, শুক্রবার থেকে কার্যকর

১৮

শীতে ত্বক-চুল সুন্দর রাখতে চিয়া সিড কীভাবে খাবেন

১৯

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, দুদকের মুখোমুখি এলজিইডির প্রকৌশলী

২০
X