মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড (বিজিপি) সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানযোগে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে তাদের কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। এরপর তাদের একে একে মিয়ানমার থেকে আসা বিমানে তোলা হয়।
বিজিবি কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএম ইমরুল হাসান কালবেলাকে বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৪০ জন মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে সেনা ও বিজিপি সদস্য ছাড়াও কিছু সাধারণ নাগরিকও আছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা হোসেন কালবেলাকে জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ বিমান দুপুর দেড়টার কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরণ করে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিমানটি ২টা ৪৫ মিনিটে ৪০ জন মিয়ানমার নাগরিক নিয়ে কক্সবাজার ত্যাগ করে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদুল আলম কালবেলাকে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ৪০ জনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ৪০ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৯ জুন কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। গত বছরের ২৫ এপ্রিল সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হয় আরও ২৮৮ জনকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হয় ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। তিন দফায় ফেরত পাঠানো ৭৫২ জনের সবাই রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে নিয়োজিত ছিলেন। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হাতে।
মন্তব্য করুন