মাগুরা সদর উপজেলায় এবার মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুই আসামির মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।
এর আগে শনিবার (১৭ মে) মেয়েটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাওন শেখ ও টিপু শেখ। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় বলা হয়েছে, ওই কিশোরী কানে শোনে না এবং কথাও বলতে পারে না। তাকে সামলাতে অনেক সময় বেঁধে রাখতে হয়। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটিকে ঘরে রেখে তার মা গোসল করতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খুঁজতে থাকেন। পরে মেয়েটিকে বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে উঠে আসতে দেখেন। তবে তার গায়ে কাদামাখা ছিল।
একই সময় প্রতিবেশী টিপুকে দেখা যায়। ওই যুবকের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে আরও এক যুবকের নাম বলে। তাদের মধ্যে একজন মেয়েটির চাচাতো ভাই। সে মেয়েটিকে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় অপর যুবকও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. পিয়ার উদ্দিন কালবেলাকে জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনার পরপর শাওনকে ও পরে টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের এক শিশু। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘটনার দুই মাস ১১ দিনের মাথায় গত শনিবার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পেয়েছে বাকি তিন আসামি।
মন্তব্য করুন