তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভোলায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি, আশ্রয় খুঁজছে বাসিন্দারা

বাঁধ ভাঙার কারণে পানিবন্দি হয়ে আছে তজুমদ্দিন স্লুইসগেট কেয়ামুল্যাহ এলাকা। ছবি : কালবেলা
বাঁধ ভাঙার কারণে পানিবন্দি হয়ে আছে তজুমদ্দিন স্লুইসগেট কেয়ামুল্যাহ এলাকা। ছবি : কালবেলা

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁধ হঠাৎ ভেঙে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন। বাঁধ ভাঙার কারণে পানিবন্দি হয়ে আছে উপজেলার স্লুইসগেট, চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়িচাঁদপুর, কেয়ামূল্যাহ, কাঞ্চনপুর, গুরিন্দা, চাঁচড়া ও কাটাখালীসহ দুর্গম চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন এই স্লুইসগেটের কাজ সময়মতো শেষ না হওয়ায় এবং নির্মাণে গাফিলতির কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড স্রোতের পানি গ্রামে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি এবং রাস্তাঘাট ডুবে যায়। নদীর প্রবল স্রোতে স্লুইসগেটের মুখে থাকা ছয়টি ঘর ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে। আতঙ্কে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।

এদিকে দুর্গম চরাঞ্চল চর মুজাম্মেলসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তীব্র বাতাসে চরাঞ্চলের মানুষের আতঙ্কে দিন কাটছে।

ক্ষুব্ধ হয়ে একজন বাসিন্দা বলেন, বহুবার ঠিকাদার আর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলছি, কাজটা ঠিকমতো করেন। কেউ শোনে নাই। আর এখন আমাগো সর্বনাশ হইলো।

আরেকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, স্লুইসগেটের নির্মাণে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত মাটি স্থানীয় কিছু নেতা ও ঠিকাদারের যোগসাজশে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বাধা দিতে গেলে হুমকি দিয়েছে। সেই মাটি বাঁধে ব্যবহার হলে আজ এই দুর্যোগ হতো না।

ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভ দেবনাথ। তিনি জানান, বাঁধ ভেঙে বহু মানুষ বিপাকে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ দৌলা জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় আমি গিয়েছি। ঝুঁকিমুক্ত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে জিওরোল, ব্লক ও মাটি নিয়ে অনেক লোকজন কাজ করে যাচ্ছে; যতক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত বেড়িবাঁধ হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ চলমান থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত বেরোবি শিক্ষকের শাস্তির দাবি

সিলেটে বিটিসিএল অফিসে অগ্নিকাণ্ড

সিনিয়র অ্যাডভোকেট হলেন শিশির মনির ও সাখাওয়াতসহ ১৯ জন

প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ

আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

এনআইডি জালিয়াতি অভিযোগ, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আ.লীগের বিরুদ্ধে হাসনাত আব্দুল্লাহই যথেষ্ট : নাসীরুদ্দীন

মেহেরপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনে আগুন

নারী সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রেমের ফাঁদ, অতঃপর...

১০

ছেলের কাছে চঞ্চল চৌধুরীর অনুরোধ

১১

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১২

বাঘ ধরতে গিয়ে বিপদে পুলিশ, ভিডিও ভাইরাল

১৩

রাবিতে ‘রিসেন্ট অ্যাডভান্সেস ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি’ কনফারেন্স শুরু শুক্রবার

১৪

হাথুরুসিংহের কাছে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সাদমান ইসলাম

১৫

দুই শিশুর উইপোকা খাওয়ার দৃশ্য ভাইরাল

১৬

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেমিক্যাল মেশানো খাদ্যপণ্য বিক্রি, অতঃপর...

১৭

ইরানে হেরন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শন

১৮

আ.লীগের নাশকতার প্রতিবাদে খুলনায় শিবিরের বিক্ষোভ

১৯

বিএনপি নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে

২০
X