সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত আহত হয়ে ৭৬ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী।
আহত কয়েকজন জানান, পশু কোরবানি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তারা আহত হন। কেউ পশু জবাই করার সময় ষাঁড়ের গুতোয় আহত হয়েছেন। আবার কেউ মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো ছুরি কিংবা দায়ের আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইউনিটে শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৬ জন হাসপাতালে যান। এর মধ্যে ২৬ জন কোরবানি দিতে গিয়ে গুরতর আহত হয়েছেন, তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ৫০ জন প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসা-বাড়িতে চলে যান।
সিলেটের নগরীর সাগরদিঘির পাড়ের বাসিন্দা সোহেল মিয়া কালবেলাকে বলেন, সকালে আমরা কয়েকজন মিলে গরু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ৫ জন ধরে রাখা অবস্থায় গরুটি লাফিয়ে ওঠে। পরে দুজন গরুর রশি ছেড়ে দিলে পাশে থাকা আরেক জনের ধারালো দা আমার হাতে লেগে কেটে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে আমার ভাইয়েরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা রুহলে আহমদ কালবেলাকে বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে হাতে ছুরির আঘাত লেগে আমার হাত কেটে অনেক রক্ত বের হয়েছে। প্রথমে আমার পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে সিলেটে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের বাসিন্দা সোহেল আলী বলেন, কোরবানির সময় নিজ হাতে থাকা ছুরি পায়ে লেগেছে। এতে বাম পায়ের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। পরে আমার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পশু কোরবানি করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত আহত হয়ে ওসামানী হাসপাতালে ৭৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন কোরবানি দিতে গিয়ে গুরুতর আহত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৫০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসা-বাড়িতে চলে যান। গুরতর আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
মন্তব্য করুন