লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোটি টাকার সেতু এখন গলার কাঁটা

ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে কোটি টাকার সেতু। ছবি : কালবেলা
ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে কোটি টাকার সেতু। ছবি : কালবেলা

দুই পাশে বসতবাড়ি মাঝখানে দেড় কোটি টাকার সেতু। নির্মাণ হয়নি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক। ১১ বছরেও সেতুর সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। সেতুটি ব্যবহার হচ্ছে এখন এলাকার কৃষকদের ধান শুকানোর কাজে।

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার কুড়ারপাড় বিলের উপর ২০১৪ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), লালমনিরহাট।

সেতুটির উভয় পাশে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। সেতুর প্রায় মুখেই রয়েছে ঘরবাড়ি। সরকারি জমি না থাকার পরও সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এদিকে সেতুতে ওঠার জন্য উভয় পাশে গ্রামবাসী নিজেরাই সরু একটি রাস্তা তৈরি করে। তবে ওই রাস্তা দিয়ে শুধু হেঁটে সেতু পার হতে পারলেও কোনো যানবাহন এমনকি মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যানও পার হতে পারে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রামবাসী। ফলে সেতুটি তাদের জন্য সুফলের পরিবর্তে কুফল বয়ে এনেছে। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা। ২০১৪ সাল থেকে ১১ বছর ধরে সেতুর সুফল বঞ্চিত গ্রামবাসী।

গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব আব্দুর রশিদ জানান, গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাকে ধরাধরি করে সেতু পার করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিংবা রিকশাভ্যানে হাসপাতালে নিতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সেতু পার করতে পড়েন বিড়ম্বনায়।

একই গ্রামের হজরত আলী জানান, সেতু নির্মাণে গ্রামবাসী খুশি হলেও সেতুতে ওঠার জন্য দুই পাশের সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এটি গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে সেতুর দুই পাশে দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

লালমনিরহাট এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম কালবেলাকে জানান, সেতুতে ওঠার জন্য উভয় পাশের রাস্তা সরু ও কাঁচা হওয়ায় যানবাহন পারাপার করতে পারছে না সুফলভোগীরা। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেট এলে দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার বিএনপির দুই নেতার

ভূমিকম্প: প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ, ভাঙা হবে ২৪ ভবন

পর্তুগালের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ব্রাজিল

‘এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে কেবল নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে’

দেশের ৮১ সরকারি কলেজ স্থান পেল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে

স্ট্রোক করে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

১০

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

১১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

১২

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

১৩

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

১৪

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

১৫

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১৬

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৭

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১৮

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৯

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

২০
X