নোয়াখালী হাতিয়ায় বাড়ির পুকুরে দেখা মিলল বিশাল আকৃতির একটি কুমিরের। এ ঘটনার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ শরীফের বাড়ির পুকুরে দেখা মেলে কুমিরের। পরে এলাকাবাসী ভিড় করেন সেখানে। বন বিভাগ কুমিরটি দেখে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানান, পুকুরপাড়ে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। অনেকেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তবে কুমিরটি কোথা থেকে এসেছে বা কীভাবে পুকুরে এলো, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। এদিকে কুমির আতঙ্কে রাতভর পাহারা বসিয়েছেন স্থানীয় যুবকরা। শিশু ও বৃদ্ধদের পুকুরের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
পুকুরের মালিক মাসুদ শরীফ বলেন, তিন দিন আগে একজন প্রতিবেশী তার রান্নাঘরের পাশে একটি কুমির দেখতে পান। তারপর তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে; কিন্তু কুমিরটির বিশাল আকৃতি দেখে তারা সবাই ভয় পেয়ে যায়। আশপাশের সবাইকে সতর্ক করেন।
তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে আমার স্ত্রী পুকুরে কুমিরটি দেখতে পেয়ে আমাকে জানায়। আমি ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগকে জানালে তারা এসে দেখে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি। কুমির উদ্ধার করা তাদের কাজ নয় বলে তারা চলে যায়।
মাসুদ শরীফ বলেন, প্রথমে কেউ বিষয়টি বিশ্বাস না করলেও পরে একাধিক ব্যক্তি কুমিরটি দেখার কথা নিশ্চিত করেন। পুকুরের পানি থেকে মাথা ও পিঠ তুলে কয়েকবার ভেসে উঠতেও দেখা যায় কুমিরটিকে। রাতভর আমরা আতঙ্কে কাটিয়েছি।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, প্রথমে ভাবছিলাম গুজব। কিন্তু বিকেলের দিকে নিজের চোখে দেখে অবাক হয়ে যাই। ওটা আসলেই একটা বড় কুমির। আমরা এখন আতঙ্কে আছি, বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে।
হাতিয়া উপকূলীয় বন বিভাগের নলচিরা রেঞ্জের বিট অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে বিকেলে গিয়েছি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ভালোভাবে দেখতে পারিনি। আজ আবারও আমরা সেখানে যাব এবং এটি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। অনেকেই আমাকে বলেছেন। কেউ বলছেন কুমির আবার কেউ বলছেন কুমির সদৃশ। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন