ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের কাছে মুদি দোকানের বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বিউটি বেগম ও তার স্বামী কবির মিয়ার কাছে মুদি দোকানের ৩৩ হাজার টাকা পায়। এই টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় নারী সদস্য বিউটি বেগম ও স্বামী কবির হোসেন রোববার দুপুরে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। নুর আলমের চিৎকারে তার আত্মীয়স্বজন ছুটে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত নুর আলমের ছেলে সাব্বির আলম জানান, স্থানীয় নারী মেম্বার বিউটি বেগম ও তার স্বামী কবিরের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা বকেয়া পাওনা। গত শনিবার রাতে আমার বাবা নারী মেম্বার ও তার স্বামী কবিরের কাছে বাকি টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর রোববার কবির ও তার লোকজন অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার বাবাসহ দাদা আবদুর রাজ্জাক, দাদি নুরজাহান বেগম ও চাচি রুপা বেগম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
অভিযুক্ত কবিরের স্ত্রী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি বেগম বলেন, আমি উভয়পক্ষকেই আপন মনে করি, যেহেতু আমি একজন জনপ্রতিনিধি। নুর আলম ও আমার স্বামী কবির বন্ধু ছিলেন। পূর্বে নুর আলম ও তার চাচাতো ভাইদের মধ্যে একটি মাজার সংক্রান্ত বিরোধের বিচার করেন আমার স্বামী, সে কারণেই তারা আমার স্বামী কবিরের ওপর ক্ষিপ্ত।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে আমার দেবর সোহেল মিয়া ও সুমন আহমেদ রহমান আহত হয়ে বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমি চাই, এ ঘটনার একটি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হোক।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলেই তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন