গাজীপুরের ধীরাশ্রম থেকে নিখোঁজের ৫ দিন পর নাবিলা কানিজ নাবা নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
চার বছরের শিশু নাবিলার মরদেহ উদ্ধারের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনরা। মরদেহের বীভৎসতা দেখে হতবাক এলাকাবাসী।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ৯ জুলাই পাশের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়েছিল নাবা। তারপর থেকেই তার আর খোঁজ মেলেনি। এ ব্যাপারে এলাকায় নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে মাইকিং করা হয়। ঘটনার ৫ দিন পর সোমবার বাড়ির পাশে বস্তাবন্দি কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের চাচা কুদ্দুস মিয়া। পরে বস্তা খুলতেই হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় নাবিলার মরদেহ বেরিয়ে আসে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হাত পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের মা খাদিজা বেগম বলেন, নাবিলার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেছি, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি কিন্তু কোনো সুখবর পাইনি। আজ বীভৎস অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া গেছে। আমাদের ধারণা, প্রতিবেশী কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান কালবেলাকে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মেয়েটিকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বাবা প্রবাসে থাকায় দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে বসবাস করতেন খাদিজা বেগম। নাবিলা ছিল তাদের প্রথম সন্তান।
মন্তব্য করুন